সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে একসাথে কাজের আহ্বান শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, রোগীদের চরম ভোগান্তি বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সুনামগঞ্জে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত নদ-নদীর পানি বাড়লেও হাওরে পানি কম বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে অধিকার’র মানববন্ধন ভাটির হাওরে ক্ষেতমজুররাই নব্য উৎপাদক শক্তি

তরুণকে চেতনানাশক খাইয়ে বিয়ের অঙ্গীকারনামা সম্পাদনের অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ০৯:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ০৯:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন
তরুণকে চেতনানাশক খাইয়ে বিয়ের অঙ্গীকারনামা সম্পাদনের অভিযোগ
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :: দোয়ারাবাজারে তুহিন মিয়া নামের এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক তরুণকে চেতনানাশক খাইয়ে বিয়ের অঙ্গীকারনামা সম্পাদনের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক কন্যাকে বিবাদী করে ভিকটিম তুহিন মিয়ার পক্ষে বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সহকারী জজ আদলতে একটি মামলা দায়ের করেছেন তুহিনের মা মোছা. জোসনা বেগম। মামলা নং ২৫/২০২৫ ইং। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলা গ্রামের মৃত সফিকুল ইসলামের পুত্র তুহিন মিয়া (১৭) কে একই ইউনিয়নের টিলাগাঁও গ্রামের কন্যা দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করার পাঁয়তারা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি তুহিন মিয়াকে ফুসলিয়ে টিলাগাঁও গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে তিনটি স্টাম্পে সাক্ষর নিয়ে বিবাহের অঙ্গীকারনামা সম্পাদনা করেন ওই মেয়ে। এই কাজে সহযোগিতা করেন টিলাগাঁও গ্রামের ইয়াকুব আলী, লক্ষ্মীপুর চকবাজার গ্রামের জসীম উদ্দিন এবং মসুদ নামের একাধিক ব্যক্তি। ওইদিন চেতনানাশকের প্রভাবে তুহিন মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অভিযুক্ত কন্যা ও তাঁর সহযোগীরা লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার বাড়ির সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যান। পরে খবর পেয়ে তুহিন মিয়ার মা জোসনা বেগম ও তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় তুহিনকে উদ্ধার করে ওইদিনই দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তুহিনের পরিবার খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, বিবাদী ওই কন্যা অন্যান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় তুহিনকে চেতনানাশক খাইয়ে তাঁর স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ের অঙ্গীকারনামা স¤পাদন করেছেন। মামলার বাদী জোসনা বেগম বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ২ ধারা অনুযায়ী বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলের বয়স ২১ বছর হতে হয়। অথচ জন্মসনদ অনুযায়ী আমার ছেলের বয়স ১৭ বছর। তাছাড়া চুক্তি আইন অনুযায়ী নাবালক কোনো পুরুষ বা মহিলা কোনো চুক্তি স¤পাদন করতে পারেনা। কিন্তু মামলার বিবাদী ও তার সহযোগীরা বেআইনিভাবি আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে চেতনানাশক খাইয়ে বিয়ের অঙ্গীকারনামা তৈরি করেছে। আমার ছেলে এসব অঙ্গীকারনামা সম্পর্কে আমি কিছুই জানেনা। আমি মাননীয় আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মামলা বিবাদী ওই কন্যা বলেন, কোনো চেতনানাশক খাওয়ানো হয়নি। তুহিনের সাথে আমার একবছরের রিলেশন ছিল। পরে আমরা উভয়ে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি। কিন্তু বিয়ের পর তার পরিবারের লোকজন তাকে জোরপূর্বক ধরে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞান করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স