সুনামগঞ্জ , শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ , ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আলোচনায় বিএনপি’র দুই হেভিওয়েট প্রার্থী কৃষকরা বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছেন : অতিরিক্ত কৃষি সচিব নদী ভাঙন রোধের দাবিতে ভাদেরটেক গ্রামবাসীর মানববন্ধন গ্যাসের পাইপ লাইনে লিকেজ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা জামালগঞ্জে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা অ্যাড. নূরুল ইসলামের গণসংযোগ ভক্তি আর সম্প্রীতিতে মুখরিত রথযাত্রা চাঁদা না দেয়ায় দুই ভাইকে ছুরিকাঘাত : একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক মাছ বাজারে প্রতারণার ফাঁদে ক্রেতারা বালুপাথর মহালের ইজারা বন্ধ নয়, ইজারা প্রথার বাতিল চাই ১১ মাসে অর্ধ শত কোটি টাকার বালু লুট জগন্নাথপুরে ৩ আসামি গ্রেফতার টাঙ্গুয়ার হাওরে গাঁজা সেবন ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, ৫ পর্যটককে কারাদন্ড মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত “মধ্যনগরে রাজহংস হাউজ বোট বিএনপি নেতার দখলে” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ কাদাজলে নষ্ট ভাটির বন্দরের সুনাম সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার চোরাকারবারিদের কোনো ছাড় নয় : বিজিবি অধিনায়ক টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্র : অবহেলায় ধ্বংসের পথে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আদারবাজারে সুপেয় পানি ও শৌচাগার সংকট

পানি নিস্কাশনের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

  • আপলোড সময় : ০৬-০৩-২০২৫ ০৩:৪৫:২৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৩-২০২৫ ০৩:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন
পানি নিস্কাশনের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ পাঠ করছেন খান মো মোজাম্মেল হক
স্টাফ রিপোর্টার::
জামালগঞ্জে পাগনা হাওরের পানি নিষ্কাশনের নামে ফেনারবাঁক ও শান্তিপুর গ্রামের ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে শান্তিপুর গ্রামে গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক ইউপি সদস্য খান মো. মোজাম্মেল হক।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পাগনা হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এর আগেই স্বেচ্ছাশ্রমে গজারিয়া খাল খননের চেষ্টা করে কয়েক গ্রামের মানুষ। পরবর্তীতে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য ফেনারবাঁক ও শান্তিপুর গ্রামের সম্মিলিত উন্নয়ন ফান্ড থেকে টাকা উত্তোলন করে সেচমেশিন বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি জুলফিকার চৌধুরী রানা ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী মিলে ইচ্ছেমতো ফান্ডের টাকা উত্তালন করে খরচ করেছে। এমনকি তারা স্বেচ্ছাশ্রমের কাজ দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করে আসছে। পানি নিষ্কাশন বাবদ এ পর্যন্ত ফান্ডের কত টাকা খরচ হয়েছে জিজ্ঞেস করলে হিসাব দিতে বাধ্য নয় বলে জানায় জুলফিকার চৌধুরী রানা। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, যারা হিসাব চাইবে তাদেরকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে বিভিন্ন মামলায় চালান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলা প্রশাসক বরাবরে শান্তিপুর গ্রামের আশরাফ খান ফান্ডের টাকার তদন্ত চেয়ে আবেদন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুলফিকার চৌধুরী রানা সংবাদ সম্মেলন করে আমাদেরকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে প্রচার করেন। পানি নিষ্কাশনে গ্রাম থেকে লক্ষাধিক টাকা তুলা হলেও হিসাব পাওয়া গেছে ৬৫ হাজার টাকা। বাকি টাকা রানা আত্মসাত করেছেন। অতীতে সাবেক এমপি নজির হোসেনের অনুদানের দেড় লক্ষ টাকা, নজির হোসেন কর্তৃক জিয়া পরিষদের অনুদানের ১২ টন চাল-গম আত্মসাত করেছে। যা তদন্ত করলেই সব বের হয়ে আসবে। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, জুলফিকার চৌধুরী রানার সাথে সাবেক মহিলা সাংসদ শামীমা আক্তার খানম ও তার স্বামী শাহরিয়ার চৌধুরী বিপ্লবের ঘনিষ্ট সখ্যতা ছিল। মহিলা এমপির প্রকল্পের টাকায় ফেনারবাঁক বাজার, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কাজে তার সম্পৃক্ততা আছে। তিনি এসব কাজে নিয়োজিত শ্রমিকের টাকাও আত্মসাত করেছেন। এমনকি রানার বাড়িতে মহিলা এমপির অনুদানের ঘর এখনও আছে। তার আত্মীয়-স্বজনও মহিলা এমপির অনুদানের ঘর, সোলারসহ নানা সুবিধা পেয়েছে। এমনকি বিএনপি যেসব নির্বাচনে অংশ নেয়নি সেসব নির্বাচনে রেজাউল করিম শামীম ও সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রচারণায় অংশ নিয়েছে তারা। এসব প্রমাণ থাকার পরও জুলফিকার চৌধুরী রানা ও বিএনপি নেতা মোজাম্মেল চৌধুরী নিজেদের পরিচয় ঢাকতে গিয়ে অন্যদেরকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে আখ্যায়িত করছে। আমরা এই অর্থ আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স