সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে একসাথে কাজের আহ্বান শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, রোগীদের চরম ভোগান্তি বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সুনামগঞ্জে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত নদ-নদীর পানি বাড়লেও হাওরে পানি কম বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে অধিকার’র মানববন্ধন ভাটির হাওরে ক্ষেতমজুররাই নব্য উৎপাদক শক্তি

নদী কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়

  • আপলোড সময় : ০৬-০৩-২০২৫ ১২:৫৭:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৩-২০২৫ ১২:৫৭:১০ পূর্বাহ্ন
নদী কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়
গত সোমবার (৩ মার্চ ২০২৫) তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে নদীর জায়গা দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন। এমন হলে বলাই যায় যে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই এবং বিরোধটা যেহেতু জায়গা দখলে, সুতরাং বিরোধের নিরসন না হলে কী হবে সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কীছু বলা যায় না। ঘটনা যেকোনও মুহূর্তে তা রক্তারক্তি থেকে হতাহতের ঘটনায় পর্যবসিত হতে পারে। নদী কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। ইচ্ছে করলেই যে কেউ নদীর জায়গা দখল করে নিতে পারেন না। সরকার নদী থেকে মৎস্য অহরণ কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে বালু-পাথর উত্তোলনের জন্যে আইন অনুসারে ইজারা দিয়ে থাকেন। সুনামগঞ্জের উত্তরাঞ্চলে নদীর তলদেশের বালু-পাথর আহরণের তাগিদে বালুপাথর মহাল সৃষ্টির পর থেকে নদী ইজারা দেওয়ার প্রচলন হয়েছে। ফলে ইজারা ও ইজারাবিহীনতার ফাঁকতালে আজকাল লোকেরা নদীর জায়গা দখল নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামতে কসুর করেন না এবং সেটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গিয়ে সাধারণ ঝগড়াঝাটির সীমানা ছাড়িয়ে মামলা-মোকদ্দমা হয়ে রক্তারক্তি কা-কারখানা হয়ে যাওয়া পর্যন্ত গড়ায়। এইসব পুরনো কাসুন্ধি আপাতত ঘাঁটতে চাই না। নদীর জায়গা বলে কথা। নদী কারও ব্যক্তিগত মালিকানার জায়গা হতেই পারে না। নদীর মালিক রাষ্ট্র অর্থাৎ সরকার। এই দিক থেকে বিবেচনায় সরকারি অনুমোদন ব্যতীত কোনও ব্যক্তিবিশেষ নদীর বালুপাথর আহরণ কিংবা উত্তোলন করার অধিকারী নন। আইন অনুসারে সরকার ব্যক্তিকে মৎস্য-আহরণ অথবা বালুপাথর সংগ্রহের জন্যে ইজারা দিয়ে থাকেন। আইনের এই নীতি মেনে চললে ইজারা দেওয়ার পর এখন যেমন দখল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ হচ্ছ তা হবার কথা নয়। নদীর বালুপাথর লুটের প্রসঙ্গ তোলছি না, এতো ঘুরপ্যাচের দরকার নেই। নদীদখলের বিবাদের নিরসন চাই। সোজা কথায় বলি, নদী ‘ইজারা দেওয়া হয়ে থাকলে’ সরকারের উচিত ইজারাদারকে সুরক্ষা দেওয়া, বিপরীতে ‘ইজারা দেওয়া না-হয়ে থাকলে’ অথবা বালুপাথর উত্তোলনের কোনও সরকারি অনুমোদন না থাকলে নদীর বর্তমান দখলদারকে উচ্ছেদ করাসহ দখল করতে প্রত্যাশীকে কঠোর হস্তে দমন করা উচিত, সরকারি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বলে দিতে হবে যে, নদী কারও বাপের জায়গা নয়, নদী রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি, যার ইচ্ছে সেই দখল করে নিয়ে বালুপাথর লুট করে নিতে পারে না। রাষ্ট্রের প্রতি এটি একটি অপরাধ, প্রশাসনকে তা দমন করতেই হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স