ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক রথীন্দ্র কুমার দাস স্মরণে শোকসভা টিলা কেটে সরকারি জায়গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বহুতল মার্কেট ছয় থানার ওসি বদলি কমিশনকে নজরে রাখবে রাজনৈতিক দলগুলো সালমান-আনিসুল হক ফের রিমান্ডে দেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা দেবে জার্মানি হাওরকে বাঁচতে দিন আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৪৭৬ প্রাণ কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৫ অক্টোবর “অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে, তবে তা সীমাহীন নয়” ইজারাকৃত সব জলমহালের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ পদ হারিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরছেন আ.লীগ নেতারা সাবেক ৩ সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউনেস্কো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জামিনে মুক্ত

  • আপলোড সময় : ২৭-০৮-২০২৪ ০১:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৮-২০২৪ ০২:০১:৩০ পূর্বাহ্ন
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জামিনে মুক্ত
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জামিনে মুক্ত সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার রেজাউল করীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবী থানার পলাশনগরে নিজ বাড়ির সামনে ব্লগার রাজীব হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রাজীবের বাবা পল্লবী থানায় মামলা করেন। ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট জসীম উদ্দিন রাহমানীকে বরগুনা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকার একটি আদালত ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনসহ মোট চারটি মামলা হয়। কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার রেজাউল করীম জানান, মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রাহমানীকে জামিন দেওয়া হয়। রবিবার (২৫ আগস্ট) আদালত থেকে তাকে জামিন দেয়। অন্য মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত ১৫ আগস্ট নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দীন রহমানী প্যারোলে মুক্তি পেয়ে হেলিকপ্টারে বরগুনা গিয়ে বোনের জানাজায় অংশ নেন। এদিন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সকাল ৯টায় তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। সকাল ১০টায় বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে জানাজা পড়ানো শেষে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। প্যারোলে মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত চিঠি থেকে জানা যায়, গত বুধবার জসিম উদ্দীন রহমানীর বড় বোন বরগুনার বাসিন্দা মমতাজ বেগম (৬৫) মারা যান। এরপর নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বৃহ¯পতিবার সকালে তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জসিম উদ্দীন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় হেলিকপ্টারে বরগুনার সার্কিট হাউজ মাঠে অবতরণ করেন। পরে বোনের জানাজায় ইমামতি করেন। এরপর গাজীপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজা নামাজের শুরুতে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে জসিম উদ্দীন রহমানী বলেন, আমি একজন মুসলিম, এটাই আমার বড় পরিচয়। কোনও দলের সঙ্গে কখনও জড়িত ছিলাম না। অথচ শেখ হাসিনার সরকার আমাকে মিথ্যা মামলায় জেলে রেখেছে। গ্রেফতারের আগে কখনও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নামও শুনিনি। ওই সংগঠনের প্রধান হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। আমাকে বানিয়েছে খুনি, বানিয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান। আমার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে এই টিমের অপবাদে জেল খাটিয়েছে, আমার ছোট ভাইয়ের ওপর চালিয়েছে অমানবিক নির্যাতন। একসময় সে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে। আমাকে বিনা অপরাধে ১২ বছর ধরে কারাগারে রাখছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। বোনের জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন এই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে আবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে পুলিশের নিরাপত্তায় জসিম উদ্দীনকে হেলিকপ্টারে বরগুনায় আনা হয়। পরে একইভাবে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, শীর্ষ একজন ‘জঙ্গি’র এভাবে জানাজায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। তবে তিনি বা তার অনুসারীরা কীভাবে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছেন, তা জানা যায়নি। জসিম উদ্দীন বরগুনা সদর উপজেলার ৮ নম্বর ইউনিয়নের হেউলিবুনিয়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে। জসিম উদ্দীনের ছোট ভাই আব্দুল জলিল বলেন, পারিবারিকভাবে আমরা কোনও কিছুর ব্যবস্থা করিনি। কে বা কারা ভাইকে হেলিকপ্টারে বরগুনায় আসতে দিয়েছেন, সে বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা নেই। স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি মসজিদের খতিব ছিলেন জসিম উদ্দীন। ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন আদালত। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে পৃথক দুটি মামলা রয়েছে। যা এখনও বিচারাধীন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য