বিশেষ প্রতিনিধি::
টাঙ্গুয়ার হাওরের বিভিন্ন জলাশয়গুলোতে এখন শাদা দেশিয় বক পাখির উপস্থিতি দেখা গেছে। পানি কমে যাওয়া জলাশয়গুলোতে শাদা বকের সারি দল বেধে খাবার সংগ্রহ করছে। কাছাকাছি মানুষের উপস্থিতি টের পেলেই দিচ্ছে উড়াল।
গতকাল এমন দৃশ্য দেখা গেছে হাওরটির একাধিক জলাশয়ে। হাওরটির ওয়াচটাওয়ার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাগমারা গ্রুপ জলমহালটির ভিতর দিয়ে চলে গেছে একটি কান্দা। কান্দার ভিতরে আবার সরু খাল সাপের মতো বাকানো। খালটি শুকিয়ে গেছে। কান্দার দুই দিকেই পশ্চিম ও পূর্ব দিকে রয়েছে জলাশয়। এর মধ্যে পশ্চিমের জলাশয়টিকে স্থানীয়রা সানন্দের ডোবা হিসেবে ডাকেন। এছাড়াও কাইজ্যাউরি জলাশয়ের বিভিন্ন অংশেও একই চিত্র দেখা গেছে। কোথাও শাদা বকের দল শুকিয়ে যাওয়া জলাশয়ে পা ডুবিয়ে খাবার খাচ্ছে। করছে ওড়াওড়ি। তবে কান্দা থেকে এলাকার মানুষ দিনে জ্বালানি সংগ্রহ করায় বা অন্যান্য কাজ করায় এখন সেখানে দিতে আসতে পারেনা পাখির দল। তাই শুকিয়ে যাওয়া অল্প পানির জলাশয়েই দিনে দেখা যায় পাখিগুলোকে। ধবধবে শাদা এবং আকারেও অনেক বড়ো বকের দল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জলাশয়ে খাবার খাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানালেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে সম্প্রতি বিষটোপ দিয়ে পাখি শিকার করা হচ্ছে। বিভিন্ন কান্দা ও জলাশয়ে বিষটোপ ফেলে রেখে পাখি শিকার করছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মন্দিআতা এলাকায় শিকারির পাখির বিষটোপে এক খামারির ৫ শতাধিক হাস মারা গেছে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে প্রশাসন অভিযান চালালেও পাখি শিকারিদের আটক করতে পারেনি।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী আহমদ কবীর বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে শাদা বকপাখি বারো মাসই দেখা যায়। তবে এই মওসুমে জলাশয়গুলো যখন শুকিয়ে যায় তখন পাখির উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। বক পাখির সঙ্গে অন্যান্য দেশিয় প্রজাতির কিছু পাখিও আছে। তবে শাদা বকের সারি দেখতে সুন্দর লাগে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, হাওরের জলাশয়ে এখন নানা ধরনের পাখি দেখা যায়। বিশেষ করে এখন বকপাখি একটু বেশি দেখা যায়। আমরা অভিযোগ পেয়েছি বক কিছু চোরাই শিকারি বিষটোপ দিয়ে পাখি শিকার করে। আমরা একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
টাঙ্গুয়ার জলাশয়ে বকপাখির ওড়াওড়ি
- আপলোড সময় : ০২-০৩-২০২৫ ০৫:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০২-০৩-২০২৫ ০৬:৩০:৩২ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ