জামালগঞ্জে ১৫ মাস ধরে এসিল্যান্ড নেই ভোগান্তিতে সেবাপ্রত্যাশীরা
- আপলোড সময় : ২৫-০২-২০২৫ ১০:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৫-০২-২০২৫ ১০:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

আব্দুল্লাহ আল মামুন ::
জামালগঞ্জ উপজেলায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) পদটি শূন্য পড়ে রয়েছে। এতে নামজারি ও জমাখারিজসহ ভূমিসংক্রান্ত নানা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চরম ভোগান্তি হচ্ছে মানুষের।
জানাযায়, উপজেলায় ৩৩৮ দশমিক ৭৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছয় ইউনিয়নে ছোট বড় মৌজা রয়েছে ৯৩টি। এতে প্রায় আড়াই লক্ষ লোকের বসবাস। মোট জমির পরিমাণ ২৭ হাজার ৯৭৩ হেক্টর। এর মধ্যে আবাদি জমির পরিমাণ ২৭ হাজার ৬৪৩ হেক্টর। অনাবাদি জমি রয়েছে ১২ হাজার ৭১ হেক্টর। ছোট বড় হাওরের সংখ্যা ১৬টি। সর্ববৃহৎ হাওর পাগনা ও হালি। নদী-নালা, খাল-বিল, ছোট ছোট জলাশয়, গোচারণ ভূমি ও খেলার মাঠসহ আরও প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টরেরও বেশি ভূমি রয়েছে।
ভূমি অফিস সূত্রে জানাযায়, বিগত সময়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তনুকা ভৌমিক ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তাঁর দাপ্তরিক কাজের ব্যস্ততার কারণে ভূমি সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এনিয়ে সেবা প্রত্যাশীদের মাঝে ক্ষোভ আছে।
জানাযায়, নিজ দপ্তরের কাজ চলমান রেখে ভূমি অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও তা জনগণের কষ্ট লাঘবে যথেষ্ট নয়। এছাড়াও সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় উপজেলার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, খাসভূমি উদ্ধার, সরকারি বিল শুকিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরাসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। ভূমি সংক্রান্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার হাজারো মানুষ। ভূমি অফিসে প্রতিদিন নামজারি ও অন্যান্য সেবার জন্য ভিড় করছেন ভুক্তভোগীরা। এপর্যন্ত প্রায় সাতশ নামজারির আবেদন নামুঞ্জুরের ফাইলে বন্দী আছে।
অসংখ্য ভুক্তভোগী জানান, আমাদের প্রয়োজনে জমি কেনাবেচা করতে হয়। নামজারির জন্য একাধিক বার এসেও কাজ হচ্ছে না। কাজ কখন হবে কেউ বলতে পারেনা। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের উপজেলায় এসিল্যান্ড নাই। কখন এসিল্যান্ড আসবেন তা আমরা জানিনা। নামজারির জন্য ৪ মাস আগে আবেদন করেছি। প্রতি সপ্তাহে খোঁজ-খবর নেই। এখনো আমার নামজারি হয়নি। আমার জরুরি দরকারে জমি বিক্রি করব। কিন্তু নামজারির জন্য জমি বিক্রি করতে পারছি না। জরুরি ভিত্তিতে আমাদের উপজেলায় একজন এসিল্যান্ড দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুন নূর বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় সেবা প্রাপ্তিতে ভোগান্তি হচ্ছে। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক স্যার ও বিভাগীয় কমিশনার স্যারকে অবগত করেছি। স্যাররা বলেছেন অফিসার আসলে শূন্য পদে পদায়ন করা হবে।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী বলেন, জামালগঞ্জসহ বিভাগের অনেক উপজেলায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) পদ শূন্য রয়েছে। হাওর জনপদ জামালগঞ্জে ইউএনও একা কাজ করা কঠিন। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে শীঘ্রই শূন্য পদে পদায়ন করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ