সুনামগঞ্জ , সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সড়কগুলোর কাজ শেষের পথে, এখনো মিলেনি সেতু নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ-হত্যাকান্ডের ঘটনায় উদ্বেগ শ্বশুর বাড়ি থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার তাহিরপুরে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অর্থায়নে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন শান্তিগঞ্জে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২০ শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপি’র দুই’পক্ষের হাতাহাতি ৬ যুগেও তাহিরপুরে নির্মাণ হয়নি শহীদ মিনার বইমেলা আমাদের সংস্কৃতি আর জ্ঞানের প্রতীক : জেলা প্রশাসক সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের একুশ উদযাপন পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটি গঠন গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ বইমেলা আমাদের সংস্কৃতি আর জ্ঞানের প্রতীক- জেলা প্রশাসক ২০১৮ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি বিএনপির বর্ধিত সভা এবার সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের পরিকল্পনা সভা আল-আকসা কিন্ডারগার্টেন উদ্বোধন
হাওরে এডিবি’র এফডিডিআরবি প্রকল্প

সড়কগুলোর কাজ শেষের পথে, এখনো মিলেনি সেতু নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন

  • আপলোড সময় : ২৪-০২-২০২৫ ১২:৫৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০২-২০২৫ ০১:০২:৫০ পূর্বাহ্ন
সড়কগুলোর কাজ শেষের পথে, এখনো মিলেনি সেতু নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন
বিশেষ প্রতিনিধি::
২০২২ সালের জুন মাসে হাওর জেলা সুনামগঞ্জ সর্বকালের ভয়াবহ মহাপ্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে লন্ডভন্ড হয়েছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত গ্রামীণ অবকাঠমো। জরুরি এসব গ্রামীণ সড়ক সংস্কারে এগিয়ে আসে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। বিশেষ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয় পুননির্মাণ ও সংস্কারে। ‘২০২২ এ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্প’ (এফডিডিআরবি) নাম দিয়ে জরুরি পুনর্বাসন সহায়তায় বরাদ্দ দেয় বাংলাদেশ সরকারকে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের হাওরাঞ্চলের জেলায় প্রায় ১২শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল ওই প্রকল্পে। তবে সুনামগঞ্জে প্রকল্পে সড়কের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। সেতু নির্মাণের দরপত্র শেষ করে আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হলেও এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন মিলছে না। ফলে প্রকল্পের পুরো সুবিধা ভোগ করতে পারছেনা হাওর জেলা সুনামগঞ্জবাসী।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘২০২২ এর বন্যায় ক্ষতিগ্রন্ত গ্রামীণ অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পে’ সুনামগঞ্জে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় এডিবি। প্রকল্পে সড়ক নির্মাণে ৮টি প্যাকেজ ও সেতু নির্মাণে ৬টি প্যাকেজ গ্রহণ করে নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শুরু হয়। সড়ক নির্মাণের ৮টি প্যাকেজের মধ্যে দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১টি, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩টি, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ২টি, ছাতক উপজেলায় ৩টি, জগন্নাথপুরে ৩টি, বিশ্বম্ভরপুরে ২টি, জামালগঞ্জে ১টি এবং তাহিরপুরে ১টি সড়ক রয়েছে। ইতোমধ্যে এসব সড়কের কাজ প্রায় শেষের পথে। তবে কিছু কিছু এলাকায় কাজ শুরুর পর আবারও ২০২৪ সালে বন্যা এসে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঠিকাদাররা কাজে বিলম্ব করে। তাছাড়া কয়েকটি সড়কে নজরদারির অভাবে কাজের মান ভালো না হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেন। সুধীজনও এডিবি’র বরাদ্দ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভীমখালি-জামালগঞ্জ, কাঠইর-জয়নগর-জামালগঞ্জ সড়ক, শান্তিগঞ্জ-রজনীগঞ্জ সড়ক, সাচনা-রামনগর সড়ক, আজমপুর-দোয়ারা সড়ক, কৈতক-সিরাজগঞ্জ সড়ক, জাউয়া-আন্দাইরগাও সড়ক এই প্রকল্পে সংস্কার, নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয় ওই প্রকল্পে। এখনো কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এদিকে একই প্রকল্পে আলাদা ৬টি প্যাকেজে ৩৫টি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রাক্কলন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরবর্তীতেও দরপত্রের মূল্যায়নও শেষ হয়। সর্বশেষ সেতুর কাজগুলোর অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলেও এখনো অনুমোদন মিলেনি। যার ফলে সেতুর কাজ অগ্রসর হচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এসব সেতুর কাজ শুরু করতে না পারায় কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাচ্ছেনা হাওরবাসী। তাদের চলাচলের জন্য সড়ক সংস্কার ও নির্মাণকাজ হলেও সেতুর অভাবে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চালবন্দ গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের গ্রামে প্রায় বছর খানেক আগে সড়কের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেছে। কাজটি বাস্তবায়িত হওয়ায় আমাদের এলাকার হাজারো মানুষের যোগাযোগ সহজ হয়েছে।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মঈনুল হক বলেন, আমার ইউনিয়নে কাঠইর-জয়নগর সড়কের কাজ প্রায় দুই বছর আগে শুরু হয়। মাঝে আরেক দফা বন্যার মুখে পড়ে সড়কটি। তাছাড়া কাজ শুরুর প্রথমে নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়রা নানা প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করেন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেয়। তবে এখনো কাজটি চলমান আছে। আসন্ন বন্যার আগেই কাজটি শেষ করার আহ্বান জানান তিনি।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার বলেন, এডিবি আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজে দীর্ঘদিন ধরে সহায়তা করছে। তবে বন্যার পর আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারে বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে গ্রামীণ মানুষের চলাচল সহজ হচ্ছে, জীবনমানের উন্নয়ন ঘটছে। এই উন্নয়ন ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পাশাপাশি কাজগুলো যথাযথভাবে তদারকি করার আহ্বান জানান তিনি। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সদর উপজেলায় এডিবি’র বন্যা পুনর্বাসন প্রকল্পে ১টি প্যাকেজে তিনটি সড়কের কাজ শুরু হয়েছিল। এতে বরাদ্দ প্রায় ১৯ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ কাজই শেষ হওয়ার পথে। তবে বর্ষার আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এডিবি’র অর্থায়নে হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পে কাজ এখনো চলমান আছে। সড়কগুলোর কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। তবে প্রায় ৩৫টি সেতুর কাজের এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পেলে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সড়কগুলোর কাজ শেষের পথে, এখনো মিলেনি সেতু নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন

সড়কগুলোর কাজ শেষের পথে, এখনো মিলেনি সেতু নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন