শ্বশুর বাড়ি থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- আপলোড সময় : ২৪-০২-২০২৫ ১২:২৭:২৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৪-০২-২০২৫ ১২:২৭:২৯ পূর্বাহ্ন

ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার লংকাপাথারিয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়ির বসতঘর থেকে জামাই সৌরভ মিয়ার (২২) ঝুলন্ত লাশ রবিবার সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি উপজেলার নোয়াবন্দ গ্রামে।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নোয়াবন্দ গ্রামের সাজ্জাত হোসেনের ছেলে সৌরভ মিয়ার সঙ্গে একই ইউনিয়নের পাশের লংকাপাথারিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ের (১৯) বিয়ে সাত থেকে আট মাস আগে স¤পন্ন হয়। গত মঙ্গলবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। রাগ করে গৃহবধূ ওইদিনই তার বাপের বাড়ি লংকাপাথারিয়া গ্রামে চলে আসেন। শনিবার বিকেলে স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে সৌরভ শ্বশুর বাড়িতে আসেন। এ সময় শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়িতে ছিলেন না। তারা মাসখানেক ধরে এলাকার বাইরে অবস্থান করছেন। শনিবার রাত নয়টার দিকে শ্বশুর বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে সৌরভ ঘুমিয়ে পড়েন। রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে স্ত্রী মাহিনূরের ঘুম ভাঙলে তিনি তার স্বামীকে ওই বসতঘরের আঁড়ের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। পরে প্রতিবেশীরা এসে জামাই সৌরভকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে রবিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ বসতঘরের ভেতর থেকে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে।
ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়া উদ্দিন বলেন, সৌরভ মিয়া মাদকাসক্ত ছিল বিষয়টি এলাকার সবাই জানেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা বলতে পারব না।
স্ত্রী মাহিনূর বার বার বিলাপ করে বলছিলেন, হে আল্লাহ, আমার সব শ্যাষ অইয়া গ্যাছে। তুমি আমার স্বামীরে ক্যান কাইড়া নিলা। আমি কী অপরাধ করছিলাম।
সৌরভ মিয়ার বাবা সাজ্জাত হোসেন (৫০) বলেন, আমার ছেলেডা গাঁজা খাইত। হেরে চিকিৎসাও করাইছি। কুনু লাভ অইছে না। গাঁজা খাওয়ার কারণে হে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন আছিইন। আমার ছেলের পোস্টমর্টাম (ময়নাতদন্ত) করার দরকার নাই। এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না।
ধর্মপাশা থানার এসআই হাফিজুল ইসলাম বলেন, লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। এই মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশটি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ