শিরনির আয়োজন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
- আপলোড সময় : ২৩-০২-২০২৫ ১২:৪০:২৩ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৩-০২-২০২৫ ১২:৪০:২৩ পূর্বাহ্ন

শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে ফসলের জন্য বৃষ্টি চেয়ে শিরনির আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৯টায় ইউনিয়নের ঠাকুরভোগ গ্রামের ছয়হালের মাঠে আবদাল মিয়া-সুফি মিয়া পক্ষ ও নূর মিয়া-আশিক মিয়া পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নূর মিয়া-আশিক মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন- ঠাকুরভোগ গ্রামের মৃত তছই মিয়ার ছেলে নূর মিয়া, মৃত আবকুল খাঁ’র ছেলে শিহাব মিয়া, মৃত রমজান খাঁ’র ছেলে আরজান খাঁ, মৃত আবদুল নূরের ছেলে মতলিব মিয়া, মৃত ইসবর খাঁ’র ছেলে শাহ জাহান খান, আকিক মিয়া, সাজিদ মিয়া।
অপরদিকে, আবদাল মিয়া-সুফি মিয়া পক্ষের আহতরা হলেন মৃত মনাফ মিয়ার ছেলে আবদাল মিয়া, সুফি মিয়ার ছেলে জুবেল আহমদ, মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমানস ওরফে হাবিব মিয়া, মিজানুর রহমান, মখলিছ মিয়ার ছেলে সেবুল মিয়া, আবুল মিয়া, মনির মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া, সৈয়দ মিয়ার ছেলে জমিদার আলী, মৃত আশাদ খাঁ’র ছেলে রেকুল খান, মৃত আরজু মিয়ার ছেলে ফখরু মিয়া, মৃত কমির মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া। এসময় আরো প্রায় ১০ জন লোক আহত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তখন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাদাত মান্নান অভি’র পক্ষ নিয়ে আধিপত্য দেখান আবদাল মিয়া-সুফি মিয়ার পক্ষ। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করেছিলো। সেই জের এখনো চলমান রয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার নিজেদের গোষ্ঠীর লোকজনদের নিয়ে গ্রামে ফসলের জন্য বৃষ্টি চেয়ে একটি শিরনির আয়োজন করেছিলেন নূর মিয়া-আশিক মিয়া পক্ষ। সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন আবদাল মিয়া-আশিক মিয়া পক্ষ। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় আবদাল মিয়া-সুফি মিয়ার পক্ষ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন যে, শনিবার সকালে তারাও শিরনির আয়োজন করবেন। মাইকের এমন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়াতে থাকে ঠাকুরভোগ গ্রামে। সকালে উত্তেজনা আরো ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ৩০ জন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটক করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। বৃষ্টির পানি চেয়ে শিরনির আয়োজনকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনাটি ঘটে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ