সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালগঞ্জে দুস্থ-অসহায় পরিবারের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ ৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক

হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ এখনো অনেক কাজ বাকি

  • আপলোড সময় : ২০-০২-২০২৫ ০৯:২০:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০২-২০২৫ ১০:০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ এখনো অনেক কাজ বাকি
বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের মাটি ভরাটের কাজ এখনো শেষ হয়নি। কমপেকশন (দুর্মুজকরণ) ও দুর্বাঘাস লাগানোর কাজ শুরুই হয়নি। ফলে বাঁধ টেকসই হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ কৃষকরা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার কথা। গতকাল বুধবার পর্যন্ত হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ৮৫ ভাগ মাটির কাজ হয়েছে বলা হলেও বাস্তবে ৬০ ভাগের মতো কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এদিকে কোনও কোনও এলাকায় কাজ শুরু হলেও কাজে গতি নেই বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে জেলার ছোট বড়ো ৫৩টি হাওরের ৫৮৮ কিলোমিটার ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর। ১২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৮৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়েছে হাওরের বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করতে। ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরুর কথা থাকলেও জানুয়ারির শেষ দিকে এবং কোথাও কোথাও ফেব্রুয়ারিতে এসে কাজ শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বিলম্বে পানি নামা ও মাটির সমস্যার কারণে বাঁধের কাজে বিলম্ব হচ্ছে বললেও বরাদ্দ ছাড় না দেওয়ায় কাজে গতি আসছেনা বলে জানিয়েছেন পিআইসি’র সংশ্লিষ্টরা। সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বরাদ্দের ২৫ ভাগ অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
শাল্লা উপজেলার শাল্লা ও হবিবপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজেরই গতি নেই। এই উপজেলার ৭৮নং পিআইসি, ২২নং এবং ৭৮নং পিআইসির কাজ শেষ হয়নি। ৭৮ নং পিআইসি উপজেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ একটি প্রকল্প। ৫৭ নং পিআইসির কাজও শেষ হয়নি। কাজের শুরুতেই ধসে যাচ্ছে এটি। এটিও ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আরো আগে কাজ শুরু হলে এই সমস্যা হতোনা বলে জানান কৃষকরা।

এদিকে, জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরের ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নং প্রকল্পের মাটির কাজ এখনো বাকি।
তাহিরপুর উপজেলার ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪ নং পিআইসির কাজ মাত্র শুরু হয়েছে। এভাবে অন্যান্য হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজও ধীর গতিতে চলছে।

শাল্লা উপজেলা ৭৮নং প্রকল্পের সভাপতি কৃপেশ চন্দ্র দাস বলেন, আমার প্রকল্পটি ঝুঁকিপূর্ণ। দাড়াইন নদীর তীরে অবস্থিত। আমরা অনেক কষ্ট করে মাটির সংস্থান করে কাজ করছি। কিন্তু বিল না পাওয়ায় কাজ আগাতে পারছিনা। শ্রমিকদের টাকা দিতে পারছিনা। ঝুঁকিপূর্ণ এই প্রকল্পে বরাদ্দ আরো বাড়ানো উচিত।
জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরের ৯ নং প্রকল্পের সভাপতি রুবেল মিয়া বলেন, মাটি সংকটের কারণে কাজে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এখন কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। আশা করি এই সপ্তাহেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে বিল না পাওয়ায় কাজ চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার বলেন, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ নানা সমস্যার কারণে এগুচ্ছেনা। পিআইসি গঠনে বিলম্ব, মাটির সংকট, অর্থের সংস্থানসহ নানা কারণে বাঁধের কাজের গতি কম। তিনি বলেন, দায়সারা মাটি কেটে বেঁধে ফেলা হলেও কমপেকশন ও দুর্বা ঘাস লাগানো হচ্ছে না। এটা করা জরুরি। না হলে ঝুঁকিতে পড়বে হাওরের ফসল।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, এ পর্যন্ত ৮০ ভাগ মাটির কাজ শেষ হয়েছে। কমপেকশন ও দুর্বাঘাস লাগানোর কাজ বাকি আছে। এই মাসেই মাটির কাজ শেষ হবে এবং বাঁধে দুর্বাঘাস লাগানো হবে বলে জানান তিনি। তবে এ পর্যন্ত মাত্র ২৫ ভাগ বিল দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে বিলের আরেক কিস্তি ছাড় করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স