বিডিআর বিদ্রোহ : শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- আপলোড সময় : ২৬-০৮-২০২৪ ০১:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৬-০৮-২০২৪ ০১:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দফতর পিলখানায় ২০০৯ সালে বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলার আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়।
রবিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ এই মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আবেদনটি নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তখন চকবাজার থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। আদালত আমাদের মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চকবাজার থানার সেই অপমৃত্যু মামলার নথি তলব করে আজকের আবেদনটি নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, পিলখানা বিদ্রোহ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল, সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান, ডিএসসিসির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, নূরে আলম চৌধুরী লিটন, শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, হাসানুল হক ইনু, ২০১০ সালের জুলাই মাসে দায়িত্বরত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারসিহ দায়িত্বরত চিকিৎসকদের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়, যারা ১৪ দলীয় জোটের এমপি ও মন্ত্রী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বাদীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে আটক করা হয় তাকেও। ২০১০ সালের ২৯ জুলাই তাকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ