সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ , ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস আজ আজ থেকে শুরু হচ্ছে পণাতীর্থে গঙ্গাস্নান জামালগঞ্জের পল্লীতে জোরপূর্বক জায়গা দখলের অভিযোগ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত তাহিরপুরে বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ, নারীসহ আহত ৫ সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করা হচ্ছে : তারেক রহমান স্ত্রীসহ সাবেক ডিআইজি বাতেনের নামে মামলা সন্জীদা খাতুন আর নেই শান্তিগঞ্জে এক বাসকে আরেক বাসের ধাক্কা, আহত ১৫ ‘খুন’ হচ্ছে হাওরের নদ-নদী-খাল শান্তিগঞ্জে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০ আজ সেই ভয়াল ২৫ মার্চ সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না, প্রত্যাশা সারজিসের সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পণাতীর্থে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিশেষ প্রস্তুতি সংস্কার সংস্কার না করে দ্রুত নির্বাচন দিন : কয়ছর এম আহমদ হাসনাতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ক্যান্টনমেন্ট প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস হাসনাতের বক্তব্য ‘অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার’ কৃষকদল নেতা আনিসুল হকের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল
পহেলা ফালগুন

ফুল ফুটুক আর না-ফুটুক আজ বসন্ত

  • আপলোড সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৭:০২:১৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০২-২০২৫ ০৭:০২:১৮ পূর্বাহ্ন
ফুল ফুটুক আর না-ফুটুক আজ বসন্ত
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: নতুন কচিপাতার দোলায় দুলছে প্রকৃতি, দুলছে আবেগী মন। শীতের খোলসে ঢুকে থাকা কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম এখন অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠেছে। নতুন প্রাণে লেগেছে সতেজ হাওয়া। আজ পহেলা ফালগুন, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। ফালগুনের হাত ধরে যৌবনের উদ্দামতা বয়ে নিয়ে এলো আনন্দ, উচ্ছ্বাস, উদ্বেলতা। তরুণ হৃদয়ে বিভেদ ভুলে, ‘চির নূতনের’ প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার দোলা। লাল আর হলুদের বাসন্তী রঙে তাই আজ বসন্তের উন্মাদনায় ভাসবে সে। বসন্ত অনেক ফুলের বাহারে সজ্জিত হলেও গাঁদা ফুলের রঙকেই এদিনে তাদের পোশাকে ধারণ করে তরুণ-তরুণীরা। খোঁপায় শোভা পায় গাঁদা ফুলের মালা। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যায় না গ্রাম্যজীবনও। আমের মুকুলের সৌরভে আর পিঠাপুলির মৌতাতে গ্রামে বসন্তের আমেজ একটু বেশিই ধরা পড়ে। বসন্তকে তারা আরও নিবিড়ভাবে বরণ করে। বসন্ত শুধু অশোক-পলাশ-শিমুলেই উচ্ছ্বাসের রং ছড়ায় না, আমাদের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহীদদের রক্ত রঙিন পুষ্পিত রক্তের স্মৃতির ওপরও রং ছড়ায়। ১৯৫২ সালের আট ফালগুন বা একুশের পলাশরাঙা দিনের সঙ্গে তারুণ্যের সাহসী উচ্ছ্বাস আর বাঁধভাঙা আবেগের জোয়ার যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফালগুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণের উৎসবে এ উৎসব এখন গোটা বাঙালির কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। বাংলায় বসন্ত উৎসব এখন প্রাণের উৎসবে পরিণত হলেও এর শুরুটা ঐতিহ্যে ম-িত; যা অনেকের অজানা। মোগল স¤্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। তখন অবশ্য ঋতুর নাম এবং উৎসবের ধরনটা এখনকার মতো ছিল না। তাই পহেলা ফালগুন বা বসন্ত উৎসব কেবল উৎসবে মেতে ওঠার সময় নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালিসত্তা। সে ঐতিহ্যের ইতিহাসকে ধরে রাখতে পারলেই বসন্ত উৎসবের সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রজন্ম ছড়িয়ে দিতে পারবে বাঙালি চেতনাকে। বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স