জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরা যাবে না : জেলা প্রশাসক
- আপলোড সময় : ১৩-০২-২০২৫ ১১:১৪:২০ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৩-০২-২০২৫ ১১:১৪:২০ অপরাহ্ন
![জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরা যাবে না : জেলা প্রশাসক জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরা যাবে না : জেলা প্রশাসক](https://sunamkantha.com/public/postimages/67ae286ccf5e7.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে বিশ একরের ঊর্ধ্বে ইজারাধীন জলমহালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার বিষয়ে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি-স¤পাদকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিরোদা রানী রায় জলমহালের ইজারা, মাছ ধরার নিয়মকানুন এবং জলমহালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারি নীতিমালা (শর্তসমূহ) তথ্য উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি বলেন, জলমহালগুলো মাছের প্রজনন এবং মাছের বংশবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাছের বংশবৃদ্ধি করতে কোনো অবস্থাতেই বিল শুকিয়ে মাছ না ধরতে সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, জলমহালগুলো হলো সোনার ডিম পাড়া হাঁসের মতো। জলমহালকে এমন একটা হাঁস বানান যাতে প্রতিবছর সোনার ডিম দেয়। আপনি যদি সোনার ডিম পারা হাঁসটিকে একেবারে মেরে ফেলেন তাহলে দেশের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং আপনারা যাদেরকে কাজ দেন তারা তো আর পরের বছর কাজ পাবে না। আপনারা জেলা প্রশাসনের যেসব জলমহালগুলো ইজারা নেন সেগুলো শুষ্ক মওসুমে একেবারে শুকিয়ে পোনাসহ মাছের গোষ্ঠী নাশ করে অনেকে মাছ ধরেন। এই কাজটা যাতে না করেন সেজন্য মূলত আপনাদেরকে ডাকা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু অসাধু মৎস্যজীবী বিল শুকিয়ে মাছ ধরতে চায়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এতে মাছের বংশবিস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদি কেউ বিল শুকিয়ে মাছ ধরতে চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমা, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসেমসহ বিভিন্ন উপজেলার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ