সুবিপ্রবি’র প্রশ্নে একটু সুবুদ্ধির পরিচয় দিন
- আপলোড সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০৯:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০৯:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন
 
                                  
                     
                            
                               সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুবিপ্রবি)-এর ক্যাম্পাস প্রস্তাবিত জায়গায় নির্মাণের দাবিতে শান্তিগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার সকাল ১১টায়। প্রস্তাবিত জায়গায় নির্মাণের যুক্তি তোলে সম্মেলনে বলা হয়েছে, “এখন নতুন করে সুনামগঞ্জের কিছু মুষ্টিমেয় মানুষ নিজেদের স্বার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সরিয়ে ভারতের কাছে নিয়ে স্থাপন করতে চাইছেন। সেটা কেন, আমাদের বুঝতে হবে। আপনাদের এতো ইন্ডিয়াপ্রীতি কেন? ইন্ডিয়া আমাদের কোন কালে, কোন সময়ই বন্ধু ছিল না, তাহলে আপনারা কেন আমাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়টি সরিয়ে ভারতের কাছাকাছি নিয়ে স্থাপন করতে চাচ্ছেন?”
উক্ত বক্তব্যে আসলে ‘প্রস্তাবিত জায়গাটি’ ছিল সুনামগঞ্জ সদরের শহরতলি বা কাছাকাছি কোথাও। সেটা কোনও মুষ্টিমেয় লোকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন দাবি ছিল না, এখনও দাবিটা সদরের সকলেরই, মুষ্টিমেয়র নয়। তৎকালীন একজন মন্ত্রী তার ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে প্রস্তাবিত জায়গাটিকে বদলে দিয়ে কাগজে কলমে শান্তিগঞ্জের ভাগে নিয়ে গেছেন। এভাবেই সিলেটের বিশ^বিদ্যালয় পাকিস্তানি আমলে চট্টগ্রাম চলে গিয়েছিল। তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন আমাদের তৎকালীন মন্ত্রী মহোদয়। তিনি কার ভালো করেছেন? শান্তিগঞ্জের জন্যে যতোটা ভালো, সুনামগঞ্জ সদরের জন্য ততোটাই খারাপ। এটা তো সদরের বরাদ্দের জিনিস, এই বরাদ্দটা প্রভাব খাটিয়ে বাতিল করা হলো কেন? তিনি ভারতের কাছে দূরের বিষয়টি বিবেচনা করেন নি, তিনি আসলে স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে উঠতে পারেন নি। এটাই ঐতিহাসিক সত্য। লর্ড ক্লাইভও ভীষণ স্বজনপ্রীতিধর ছিল, ইংল্যান্ডের জন্য পুরো ভারতবর্ষই দখল করে নিয়েছিল। মন্ত্রী মহোদয়ের ক্ষমতায় থাকার সময়কার সে-প্রচেষ্টাটা সুনামগঞ্জ সদরের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণের পরাকাষ্ঠা তো ছিলই এমনকি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ। শান্তিগঞ্জবাসী সেটা অস্বীকার করতে পারেন না এবং বর্তমানে সুনামগঞ্জবাসীর ন্যায্য দাবির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ঠিক করছেন না তারা। সদরের মানুষের দাবি উপেক্ষা করে তৎকালীন মন্ত্রী মহোদয়ের সেদিনকার আচরণ স্পষ্ট স্বজনপ্রীতিমূলক ছিল। তিনি জানতেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাপ্তির পয়লা নয় একমাত্র দাবিদার ছিল সুনামগঞ্জ সদর। তৎকালে সেটাকে চার কানাকড়ি মূল্য দেওয়া হয় নি, চরম উপেক্ষা করা হয়েছে। সেটা স্পষ্টত বিধিসম্মত ছিল না এটা  কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না, যদি সামান্য বিবেচনাবোধ থাকে। আপনারা শান্তিগঞ্জের কিছু লোক সে বিবেচনাবোধের ধারে কাছে পর্যন্ত না গিয়ে এখন সুনামগঞ্জ সদরের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিরোধিতা করতেই লেগেছেন। বিশ^বিদ্যালয় যাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন তাদেরকে একটু সুযোগ দিন। আপনাদের পক্ষে এখন অন্তত একটু সুবুদ্ধির চর্চায় সমুন্নত হওয়া উচিত।
                           
                           
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
                            
                       
     কমেন্ট বক্স 
                            
 
                          
                       
                        
                                      সর্বশেষ সংবাদ
                                
                                 
 
 
  সম্পাদকীয়
 সম্পাদকীয়  
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                     
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                