সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ , ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অপহরণের ১৪ দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে টিআরের বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে অক্টোবরে আসামি থেকে রাজসাক্ষী : সুবিধা-অসুবিধা জুয়া ও মাদকে সয়লাব শ্রীপুর বাজার জগন্নাথপুরে এমপি প্রার্থী এমএ কাহারের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ আমরা ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশ গড়তে চাই : আরিফুল হক চৌধুরী নিত্য যানজটে ভোগান্তি শহরবাসীর জেলায় পাসের হার ৬৮.৪৬%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৭ জন বিএনপিতে দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই হবে না : কামরুজ্জামান কামরুল শিক্ষক সংকটের মধ্যে আরো ৫ জন বদলি! ভোটের প্রতীক ‘শাপলা’ নয়, নীতিগত সিদ্ধান্ত ইসির ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ হাওরে মাছের আকাল, চাষের পাঙ্গাসই এখন ভরসা তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র দুই শিক্ষক! দিরাই আ.লীগের সম্পাদক প্রদীপ রায় কারাগারে ৬ দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি মৎস্য কার্যালয়ে পাওয়া গেল অফিস সহায়কের মরদেহ

সড়কের জায়গায় উচ্ছেদ-দখলের খেলা

  • আপলোড সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০৯:৫৬:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০৯:৫৮:২০ পূর্বাহ্ন
সড়কের জায়গায় উচ্ছেদ-দখলের খেলা
শহীদনূর আহমেদ ::
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সুনামগঞ্জ অংশে চলছে উচ্ছেদ-দখলের খেলা। প্রতি বছর নিয়ম অনুযায়ী সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও কিছুদিনের মাথায় ফের দখল হয়ে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথের মালিকানাধীন সড়কের দুইপাশের জায়গা। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, উচ্ছেদ পরবর্তী সংরক্ষণ ও দেখভাল না করার কারণে উচ্ছেদে কোনো লাভ হয় না বলে জানিয়েছেন সচেতন ব্যক্তিবর্গ। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং দখলদারদের এমন চোর-পুলিশ খেলায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে। গতানুগতিক ‘উচ্ছেদ অভিযান’ সরকারি টাকার অপচয় বলে মনে করছেন তারা। গেল ১৫ জানুয়ারি ঘটা করে সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকানপাট ও স্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ওয়েজখালি থেকে জাউয়াবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কিছু দিনের মাথায় ফের দখল হয়ে যাচ্ছে সড়কের জায়গা। সরেজমিনে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দিরাইর রাস্তা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, কিছুদিন পূর্বে যেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল সেই স্থানে নতুন করে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকেই বাঁশ, টিন দিয়ে দোকানপাট তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। দখলকারী ব্যবসায়ীরা জানান, সড়কের এমন উচ্ছেদ অভিযান প্রতি বছর হয়ে থাকে। যারা সড়কের উপর ব্যবসা করেন তাদের কাছে এটি স্বাভাবিক বিষয়। বছরে এক দুইবার উচ্ছেদ অভিযানের জন্য তৈরি থাকেন তারা। সড়কের পূর্ব পাশে নতুনভাবে দোকান তৈরি করতে দেখা যায় জহুর নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে। উচ্ছেদকৃত স্থানে দোকানঘর তৈরি ব্যাপারে জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, এই ব্যবসা দিয়ে আমাকে চলতে হয়। আমার আর কোনো উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়ে আবারও দোকান তৈরি করছি। সড়কের উত্তর পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা মর্ডান হাঁস ভাতের রেস্টুরেন্ট অভিযানকালে ভেঙে ফেলা হলেও কয়েক দিনের মাথায় বোঝার উপায় নেই এখানে উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে। নতুন করে হোটেলের দোকান তৈরির পাশাপাশি টাঙানো হয়েছে দোকানের নতুন সাইনবোর্ড। রেস্টুরেন্টের মালিক আতিকুর রহমানকে পাওয়া না গেলেও দোকানের এক কর্মচারী জানান, প্রতি বছর অভিযানে হোটেল ভেঙে দেয়া হয়। ভাঙার পরপর আবারও বাঁশপালা ও টিন দিয়ে দোকান প্রস্তুত করেন তার মালিক। এটা এখানকার স্বাভাবিক বিষয় বলে জানান তিনি। নাসির হোসেন নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সড়কের জায়গায় উচ্ছেদ-দখল খেলা চলছে। উচ্ছেদ করার পরপরই আবার দখল হয়ে যায়। এসব করে লাভ কি? মাঝপথ দিয়ে প্রতিবছর সরকারের টাকা অপচয় হয়। সওজ কর্তৃপক্ষ দখলদারদের সাথে চোর-পুলিশ খেলা খেলে। এর কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সল আহমদ বলেন, আমরা বহু বছর ধরে দেখে আসছি সড়কে উচ্ছেদ অভিযান হয়। এতে কাজের কাজ হচ্ছে না। সড়ক দখলমুক্ত করা হলেও তার দেখভাল বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। তাছাড়া যারা দখলদার ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা না করে উচ্ছেদ অভিযান করা হয়। কোনো উপায় না থাকায় আবারও সড়কে আসেন ব্যবসায়ীরা। ফের দখল হওয়ার ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সম্প্রতি সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে যেসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আমরা দেখছি আবারও তা দখল করা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। তারা নিয়ম-কানুন মানতে চায় না। আবারও উচ্ছেদ অভিযান করতে হবে। সময়ে সময়ে উচ্ছেদ অভিযানের নামে সরকারি টাকা অপচয় হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, করার কিছু নাই। না হলে সড়কে অফিস করতে হবে। মাইক দিয়ে সারাক্ষণ মানুষকে নিষেধ করতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স