সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল মাদকসহ গ্রেফতারের পর জামিনে এসে প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে মামলা! ৭২-এর সংবিধানকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে বিএনপি : নাহিদ ইসলাম ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন পথে যেতে যেতে : পথচারী হাসন তোরণ থেকে আলফাত স্কয়ার শুরু হচ্ছে চার লেন সড়ক নির্মাণকাজ নতুন আঙ্গিকে ‘হোটেল নূরানী’র শুভ উদ্বোধন জনগণের সেবার দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে : অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সম্ভব-অসম্ভবে ভোটের প্রস্তুতি শাপলা প্রতীক কেউ পাবে না: বিবিসি বাংলাকে সিইসি সুনামগঞ্জে এনসিপি’র নেতৃত্বে সাজাউর রাজা সুমন এনসিপি’র কমিটিতে নাম আসা হারুনুর রশিদ বললেন- “তিনি বিএনপি’র রাজনীতিতে যুক্ত” পাসপোর্ট ইস্যু বেড়েছে চার গুণ শহর যানজটমুক্ত করতে ১৬ জুলাই থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ : জেলা প্রশাসক একটি মাত্র সেতুর অভাবে দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ পাঁচ গুণিজনকে সম্মাননা প্রদান ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে শর্তসাপেক্ষে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে : ট্রাইব্যুনাল ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি, স্পষ্ট হচ্ছে অদৃশ্য শত্রু : তারেক রহমান চার উপজেলায় এসিল্যান্ড নেই, দুর্ভোগে সেবাপ্রত্যাশীরা শহরের খাল উদ্ধারে ফের শুরু হচ্ছে অভিযান

​আমার ছেলেটার বুক গুলিতে ঝাঁজরা আছিল

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:৫৮:২৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:৫৮:২৮ অপরাহ্ন
​আমার ছেলেটার বুক গুলিতে ঝাঁজরা আছিল
“লাশ দেইখ্যা তো আমি বেহুশ। অত গুলি কি-লা করল। ছেলেটার বুক গুলিতে ঝাঁজরা আছিল। আমার ছেলের বুকখান চোখও লাগি রইছে। আমরা অখন কিলা চলমু, আমারে ওষুধের টেখা দিব কেটায়।”

কথাগুলো বলেই ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করেন ষাটোর্ধ্ব আবুল কালাম (৬৪)। ছেলের কথা মনে হলেই নীরবে কাঁদেন তিনি। হতদরিদ্র আবুল কালাম ছেলেকে হারিয়ে এখন দিশেহারা। তাঁর আফসোস, ছেলেটা দেনার চাপে ছোটভাইকে নিয়ে গ্রাম ছেড়েছিল। বলেছিল, সেই ঋণ শোধ করে আবার গ্রামের আসবে। কিন্তু সেই আসা আর হলো না, তাকে আসতে হলো লাশ হয়ে।

গত ৫ আগস্ট আবুল কালামের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৪) ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরদিন গ্রামের বাড়িতে এনে তাঁর লাশ দাফন হয়। আবুল কালামের বাড়ি জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামে। এক সময় এলাকায় রিকসা চালাতেন। এখন বয়স হওয়া ও রোগেশোকে আর কাজ করতে পারেন না। বাড়িতেই থাকেন।

আবুল কালামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, তাঁর পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে বড়, বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেদের মধ্যে সোহাগ মিয়া দ্বিতীয়। চার বছর আগে সোহাগ সৌদিআরবে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। এরপর জমি, ঘরের গরু আর মহাজনি সুদে ঋণ করে প্রায় চার লাখ টাকা জোগার করে দেন দালালকে। কিন্তু সব টাকা খোয়া যায়। এরপর সুদের টাকার চাপে ছোটভাই শুভ মিয়াকে (২০) নিয়ে গ্রাম ছাড়েন সোহাগ। ঢাকায় গিয়ে পোশাক কারখানায় কাজ নেন দুই ভাই। থাকতেন বাড্ডার হোসেন মার্কেট এলাকায়। যা আয় করতেন মাসে মাসে সেখান থেকে কিছু টাকা পাঠাতেন বাড়িতে। সেই টাকা দিয়ে ঋণ শোধ করছিলেন বাবা। হৃদরোগে আক্রান্ত আবুল কালামের চিকিৎসার খরচও দিতেন সোহাগ।
৫ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে কারখানায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন দুই ভাই। ঘটনাস্থলেই সোহাগ মিয়া মারা যান। শুভ মিয়া এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ৬ আগস্ট সোহাগের লাশ এলাকায় নিয়ে দাফন করা হয়। শুভ মিয়ার চিকিৎসা নিয়েও চিন্তায় পরিবার।

আবুল কালাম বলেন, একটা ভাঙা ঘরে থাকি। বেড়া নাই, টিন নাই। মেঘ আইলে (বৃষ্টি হলে) পানি পড়ে। একবেলা খাইলে, দুই বেলা উপাস যায়। ছেলেটা মাসে মাসে কিছু টেখা দিত। এই টেকা দিয়া চলতাম। অখন ত হে নাই, আমরারে কে দেখব।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সোহাগের পরিবার খুবই দরিদ্র। যে গাড়িটা লাশ নিয়ে এসেছিল সেটার ভাড়ার টাকাও গ্রামের লোকজন দিয়েছেন।
গ্রামের বাসিন্দা আইনজীবী মো. শাহিনুর রহমান বলেন, সোহাগ মিয়া মারা যাওয়ায় এই দরিদ্র পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়ল। এখন আহত শুভ মিয়ার চিকিৎসা ও পরিবারটি কিভাবে চলবে এটি চিন্তার বিষয়। তাদের পাশে সরকারের দাঁড়ানো উচিত।



নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল