ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাঘববোয়ালদের ধরতে সরকার কঠোর উদ্যোগ নিচ্ছে : অর্থ উপদেষ্টা মাদ্রাসার টাকা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২০, আহত অর্ধশত সীমান্তে পিঠ দেখাবেন না : বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়ার চেষ্টায় বিএনপি আওয়ামী লীগের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন নিয়ে গুজব খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি শুরু দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ : সিও শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় সংগীতকে কটাক্ষের প্রতিবাদে ৪৮ নাগরিকের বিবৃতি ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা থাকবে না” মানববন্ধনের পর শাহপরাণ মাজারে গান-বাজনা নিষিদ্ধ ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪০৩ সালিশে বিরোধ নিস্পত্তি, অতঃপর প্রতিপক্ষের ওপর হামলা দোয়ারাবাজারে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা উঠে গেল যাদুকাটা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ৮টি শেভ মেশিন, ৪টি বাল্কহেড জব্দ শান্তিগঞ্জে ইউপি সদস্যের মৃত্যু : পরিকল্পিত হত্যা বলছে পরিবার সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক, ৩১ দফা বাস্তবায়নে তৃণমূলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দুর ভাইকে নিয়ে স্মৃতিচারণ গাজী টায়ার্স কারখানায় আবারও আগুন-লুটপাট কুরবাননগরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

​আমার ছেলেটার বুক গুলিতে ঝাঁজরা আছিল

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:৫৮:২৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:৫৮:২৮ অপরাহ্ন
​আমার ছেলেটার বুক গুলিতে ঝাঁজরা আছিল
“লাশ দেইখ্যা তো আমি বেহুশ। অত গুলি কি-লা করল। ছেলেটার বুক গুলিতে ঝাঁজরা আছিল। আমার ছেলের বুকখান চোখও লাগি রইছে। আমরা অখন কিলা চলমু, আমারে ওষুধের টেখা দিব কেটায়।”

কথাগুলো বলেই ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করেন ষাটোর্ধ্ব আবুল কালাম (৬৪)। ছেলের কথা মনে হলেই নীরবে কাঁদেন তিনি। হতদরিদ্র আবুল কালাম ছেলেকে হারিয়ে এখন দিশেহারা। তাঁর আফসোস, ছেলেটা দেনার চাপে ছোটভাইকে নিয়ে গ্রাম ছেড়েছিল। বলেছিল, সেই ঋণ শোধ করে আবার গ্রামের আসবে। কিন্তু সেই আসা আর হলো না, তাকে আসতে হলো লাশ হয়ে।

গত ৫ আগস্ট আবুল কালামের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৪) ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরদিন গ্রামের বাড়িতে এনে তাঁর লাশ দাফন হয়। আবুল কালামের বাড়ি জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামে। এক সময় এলাকায় রিকসা চালাতেন। এখন বয়স হওয়া ও রোগেশোকে আর কাজ করতে পারেন না। বাড়িতেই থাকেন।

আবুল কালামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, তাঁর পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে বড়, বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেদের মধ্যে সোহাগ মিয়া দ্বিতীয়। চার বছর আগে সোহাগ সৌদিআরবে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। এরপর জমি, ঘরের গরু আর মহাজনি সুদে ঋণ করে প্রায় চার লাখ টাকা জোগার করে দেন দালালকে। কিন্তু সব টাকা খোয়া যায়। এরপর সুদের টাকার চাপে ছোটভাই শুভ মিয়াকে (২০) নিয়ে গ্রাম ছাড়েন সোহাগ। ঢাকায় গিয়ে পোশাক কারখানায় কাজ নেন দুই ভাই। থাকতেন বাড্ডার হোসেন মার্কেট এলাকায়। যা আয় করতেন মাসে মাসে সেখান থেকে কিছু টাকা পাঠাতেন বাড়িতে। সেই টাকা দিয়ে ঋণ শোধ করছিলেন বাবা। হৃদরোগে আক্রান্ত আবুল কালামের চিকিৎসার খরচও দিতেন সোহাগ।
৫ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে কারখানায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন দুই ভাই। ঘটনাস্থলেই সোহাগ মিয়া মারা যান। শুভ মিয়া এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ৬ আগস্ট সোহাগের লাশ এলাকায় নিয়ে দাফন করা হয়। শুভ মিয়ার চিকিৎসা নিয়েও চিন্তায় পরিবার।

আবুল কালাম বলেন, একটা ভাঙা ঘরে থাকি। বেড়া নাই, টিন নাই। মেঘ আইলে (বৃষ্টি হলে) পানি পড়ে। একবেলা খাইলে, দুই বেলা উপাস যায়। ছেলেটা মাসে মাসে কিছু টেখা দিত। এই টেকা দিয়া চলতাম। অখন ত হে নাই, আমরারে কে দেখব।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সোহাগের পরিবার খুবই দরিদ্র। যে গাড়িটা লাশ নিয়ে এসেছিল সেটার ভাড়ার টাকাও গ্রামের লোকজন দিয়েছেন।
গ্রামের বাসিন্দা আইনজীবী মো. শাহিনুর রহমান বলেন, সোহাগ মিয়া মারা যাওয়ায় এই দরিদ্র পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়ল। এখন আহত শুভ মিয়ার চিকিৎসা ও পরিবারটি কিভাবে চলবে এটি চিন্তার বিষয়। তাদের পাশে সরকারের দাঁড়ানো উচিত।



নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
মাদ্রাসার টাকা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২০, আহত অর্ধশত

মাদ্রাসার টাকা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২০, আহত অর্ধশত