সুনামগঞ্জ , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত নদ-নদীর পানি বাড়লেও হাওরে পানি কম বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে অধিকার’র মানববন্ধন ভাটির হাওরে ক্ষেতমজুররাই নব্য উৎপাদক শক্তি ডিজেলের দাম কমল লিটারে ২ টাকা, পেট্রল-অকটেনে ৩ টাকা দোয়ারায় বজ্রপাতে মারা গেলো তিন গরু রুট পাল্টে নৌপথে সক্রিয় চোরাকারবারিরা প্রশাসনের জব্দকৃত বালুভর্তি বাল্কহেড উধাও! তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় হাওরে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দাবি নারীনেত্রী দিপালী চক্রবর্তী’র ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ভারী বর্ষণ ও ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বড় বন্যার আশঙ্কা নেই সাবেক প্রেমিকাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের পর আত্মহত্যার চেষ্টা ছাত্রলীগ নেতার রঙ্গারচরে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণ জেলা প্রশাসনের অনন্য উদ্যোগ : সবুজের সন্ধানে নতুন যাত্রা দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন : তারেক রহমান গণতন্ত্র পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া তাহিরপুরের ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই জনবল সংকট, চরম ভোগান্তিতে মানুষ সুনামগঞ্জসহ ৬ জেলায় বন্যার শঙ্কা

অনিয়ম-দুর্নীতি চলবেই?

  • আপলোড সময় : ০২-০২-২০২৫ ১২:৩২:০৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-০২-২০২৫ ১২:৩২:০৪ পূর্বাহ্ন
অনিয়ম-দুর্নীতি চলবেই?
একজন বলেছেন, ‘সমাজে এখনও বৈষম্য বিরাজমান’। তিনি একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তাঁর নাম না করেই তাঁকে ধন্যবাদ নিবেদন করছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সামাজিক বৈষম্যের কথা বিশেষভাবে প্রচার করার জন্যে। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সামাজিক বৈষম্যের কথা অধিক মাত্রায় প্রচার হচ্ছে বটে, কিন্তু বৈষম্য উদ্ভবের মূল কারণ নির্মূলের রাজনীতি থেকে সরে থাকা হচ্ছে সচেতনভাবেই কিংবা হতে পারে নিজের অজান্তেই। এমনটা যদি অজান্তেই হয়ে থাকে তা হলে এ ক্ষেত্রে জানিয়ে দেওয়া দরকার যে, বৈষম্যের মূল কারণ হলো বর্তমান আর্থসামাজিক বিন্যাস কাঠামো। অর্থাৎ নয়া ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের পদতলে আত্মসমর্পণকৃত আর্থনীতিক ও রাজনীতিক নীতি। এই নীতির কারণেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সফলতা স্বরূপ রাষ্ট্রক্ষমতায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলকরা অধিষ্ঠিত নয় বা হতে পারেন নি। এটাই দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতিক বাস্তবতা। এই কারণেই বৈষম্যবিরোধী রাজনীতিক নেতাদের ভাষ্যে বৈষম্যের প্রসঙ্গ যতোটা প্রকাশ্যে আসে এর কারণ নির্মূলের কথা ততোটাই আড়ালে পর্যবসিত হয়। তাঁরা বৈষম্যের মূল কারণ পুঁজির প্রভুত্বের বিরুদ্ধে কিংবা মুক্তবাজার অর্থনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শ্রমশোষণের বিরোধিতার রাজনীতি করতে পারেন না। আরও স্পষ্টভাবে বললে বলতে হয় উৎপাদনী উপায়ের মালিক শ্রেণি কর্তৃক অপরের শ্রমফল আত্মসাৎ করার অর্থনীতিকে উৎখাত করতে না পারলে বৈষম্য নিরনন কোনওভাবেই এবং কোনও দিনই সম্ভব নয় বা অনিবার্যভাবে হবে না। একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “মেডিকেলে অনিয়ম দুর্নীতি হয়, এগুলো তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য সরকারি দপ্তরে আমাদের টিম খোঁজখবর রাখবে, সেখানে সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে কি না, তারা নিয়মিত দেখভাল করবে, খোঁজ নিবে।” খুব ভালো কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থারূপ যে-যন্ত্রদানবটা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অনিয়ম-দুর্নীতি কেবল প্রসব করেই চলবে তার কী হবে, সে-আর্থনীতিক দুর্বৃত্তটার রাজনীতির লাগাম টানবে কে? যে-রাজনীতি ইতোমধ্যে বৈষম্যবিরোধীদের চিরদিনের জন্যে অনিয়ম-দুর্নীতি ঠেকানার অবৈতনিক চাকরি দিয়ে দিয়েছে এবং অপরদিকে নিজে আরও আরও খতরনাক অনিয়ম-দুর্নীতি করেই চলবে পুরোদমে? বিষয়টা অনেকটা পৌরসভার রাস্তাঘাটে মলবর্জ্য জমার মতো, পরিচ্ছন্নতাকর্মী সেটা পরিষ্কার করার দায়িত্বে আছে, আর কি। চমৎকারিত্ব আর কাকে বলে। যে-চমৎকারিত্বের গুণে যতোসব ‘অনিয়ম দুর্নীতি হওয়ার তদারকি’ ও ‘সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে কিনা তার দেখভাল করা’ কোনও দিনই ফুরাবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত