সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ , ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ফসলরক্ষার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কালো মাটি! বাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা গণিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ ধর্মপাশায় জলমহাল সেচে মাছ শিকারের আয়োজন,বোরো চাষ ব্যাহতের শঙ্কা যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন গ্রেফতার জামালগঞ্জে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত দোয়ারাবাজারে জামায়াতের প্রচারণা মিছিল আস্থা যুব উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত ১৫ হাওরে নির্মাণ হচ্ছে স্থায়ী ফসলরক্ষা বাঁধ জেলা কৃষিঋণ মেলা ও প্রকাশ্যে কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠিত গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে জনউদ্যোগের সচেতনতামূলক সভা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের শীতবস্ত্র বিতরণ জগন্নাথপুরের নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জন সাময়িক বরখাস্ত চাইনিজ নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ‘মানুষের উৎপাতে’ পাখি নেই টাঙ্গুয়ার হাওরে ফিমেইল একাডেমির সুনাম এখন দেশ-বিদেশে : সাবেক জেলা প্রশাসক জাফর সিদ্দিক জনগণের বিপক্ষে কাজ করলে ৫ আগস্টের মতোই পরিণতি হবে : তারেক রহমান জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জন কারাগারে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অগ্রগতি বিষয়ে মতবিনিময় দেখার হাওরের বড়দৈ কাষ্ঠগঙ্গা বিল শুকিয়ে মাছ শিকার

ফসলরক্ষার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কালো মাটি! বাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা

  • আপলোড সময় : ৩১-০১-২০২৫ ১২:২৬:৪২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩১-০১-২০২৫ ১২:২৬:৪২ পূর্বাহ্ন
ফসলরক্ষার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কালো মাটি! বাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা
শহীদনূর আহমেদ :: পাহাড়ি ঢল আর আগাম বন্যার কবল থেকে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় প্রতিবছর শতকোটি টাকায় বাঁধ নির্মাণ করে সরকার। বছর বছর মাটি দিয়ে বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধ করায় হাওরে মাটি সংকট দেখা দিচ্ছে। যার ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে ৩৫টি স্থায়ী ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করেছে। এদিকে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই বিশ^ম্ভরপুর উপজেলায় বালু আর জ্বালানিতে ব্যবহৃত কালো মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফসলরক্ষায় স্থায়ী বাঁধ। হাওর থেকে কালো মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণকাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানাযায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরে ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাধানগর থেকে রায়পুর পর্যন্ত ১৭শ মিটার বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করছে আতাউর রহমান খান লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজের শুরুতেই স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন কাজের মান নিয়ে। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেয়া হচ্ছে বালি ও কালো মাটি। মাটির বদলে কালো মাটি কেন ফেলা হচ্ছে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আতাউর রহমান খান লিমিটেডের কর্মচারীরা চটে যান গণমাধ্যমকর্মীদের উপর। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, দুয়েক গাড়ি কালোমাটি তো আসতেই পারে এতে কি হয়েছে? এতে কি এমন সমস্যা? আমরাতো কালোমাটির উপরে অন্য মাটি ফেলছি। আপনারা ভালো মাটি দেখেন না, কেবল কালো মাটি দেখতে পান। কৃষকরা জানিয়েছেন, স্থায়ী বাঁধে যে কাজে কালো মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে তা এলাকার মানুষ সাধারণত রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকেন। কালোমাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হলে সেই বাঁধ টিকবে না। খরচার হাওরের কৃষক সুলেমান মিয়া বলেন, কালোমাটি আমাদের এলাকায় লাকড়ি (জ্বালানি) হিসেবে ব্যবহার হয়। এই মাটি দিয়ে বাঁধ দিলে বাঁধ টিকবে না। কালোমাটি শুকিয়ে গেলে বাঁধে ফাটল দেখা দিবে। এতে বাঁধ দুর্বল হবে। ঢলের পানি আসার সাথে সাথেই পানিতে কালোমাটি মিশে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে ৩৫টি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দেয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গত বছরের মে মাসে কাজ শুরু হলেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। চলতি অর্থ বছরের জুনের মধ্যে ব্লকসহ স্থায়ী বাঁধের কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ বাঁধে এখনো মাটির কাজ শেষ হয়নি। আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পূর্বে বাঁধে মাটি ফেলার কাজের পাশাপাশি ব্লকের কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে বাঁধে কালো মাটি ব্যবহার বিষয়ে আতাউর রহমান খান লিমিটেড-এর তত্ত্বাবধায়ক নুরুজ্জামান আহমদ বলেন, বাঁধে কালোমাটি ব্যবহার করা যাবে না। আমি সাইটে গিয়ে দেখবো। যদি কালোমাটি ব্যবহার করা হয় তাহলে তা অপসারণ করা হবে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বাঁধে কালো মাটি ব্যবহারের কথা আমিও শুনেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লিখিত নোটিশ করা হয়েছে, যাতে দ্রুতই এই মাটি সরিয়ে নেয়া হয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ