সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ , ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ফসলরক্ষার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কালো মাটি! বাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা গণিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ ধর্মপাশায় জলমহাল সেচে মাছ শিকারের আয়োজন,বোরো চাষ ব্যাহতের শঙ্কা যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন গ্রেফতার জামালগঞ্জে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত দোয়ারাবাজারে জামায়াতের প্রচারণা মিছিল আস্থা যুব উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত ১৫ হাওরে নির্মাণ হচ্ছে স্থায়ী ফসলরক্ষা বাঁধ জেলা কৃষিঋণ মেলা ও প্রকাশ্যে কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠিত গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে জনউদ্যোগের সচেতনতামূলক সভা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের শীতবস্ত্র বিতরণ জগন্নাথপুরের নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জন সাময়িক বরখাস্ত চাইনিজ নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ‘মানুষের উৎপাতে’ পাখি নেই টাঙ্গুয়ার হাওরে ফিমেইল একাডেমির সুনাম এখন দেশ-বিদেশে : সাবেক জেলা প্রশাসক জাফর সিদ্দিক জনগণের বিপক্ষে কাজ করলে ৫ আগস্টের মতোই পরিণতি হবে : তারেক রহমান জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জন কারাগারে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অগ্রগতি বিষয়ে মতবিনিময় দেখার হাওরের বড়দৈ কাষ্ঠগঙ্গা বিল শুকিয়ে মাছ শিকার

টাঙ্গুয়াকে অবসরে যেতে দিন

  • আপলোড সময় : ২৯-০১-২০২৫ ১১:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০১-২০২৫ ১১:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন
টাঙ্গুয়াকে অবসরে যেতে দিন
বলা হচ্ছে, মানুষের উৎপাতের কারণে হাওরে পাখি নেই। গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি ২০২৫) টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে এক সংবাদপ্রতিবেদনে এবংবিধ অভিমত প্রকাশ করা হয়েছে। দৈনিক সুনামকণ্ঠের নিজস্ব প্রতিনিধি লিখেছেন, “...ফাঁদ পেতে পাখি শিকার, পর্যটকদের উৎপাত, অবাধে সংরক্ষিত এলাকায় শ্যালো মেশিন চালানো, বনায়ন কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরে অতিথি পাখিও কমে গেছে।” অথচ এই হাওরটি বিশ্ব ঐতিহ্যভুক্ত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে-প্রযতœ পাওয়ার কথা সেটা না পেয়ে এবং উপর্যুপরি অধিকতর উপেক্ষা-অবহেলা ও অনাকাক্সিক্ষত উৎপাত-অত্যাচারের শিকার হয়ে বর্তমানে কেবল পাখিশূন্য নয়, এমনকি গাছ-মাছশূন্য হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এখানে প্রাণপ্রকৃতি মাত্রাতিরিক্ত আকারে বিপন্নবস্থায় পর্যবসিত হয়ে পড়েছে। প্রতিকার হিসেবে কী করা যায়, ইতোমধ্যে অনেকেই অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এইসব পরামর্শে কোনও কর্ণপাত করেন না। উপরওয়ালারা কল্যাণকর কাগুজে নির্দেশ জারি করেন বটে কিন্তু মাঠপর্যায়ে আদপেই সে-নির্দেশ পালন করা হয় না এবং পালন না করার পরে কোনও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। প্রকারান্তরে অপরিণামদর্শী এক দায়িত্বহীনতার কৃষ্ণগহ্বরে নিপতিত প্রশাসনের সকল অপকর্মের দায়মুক্তি সম্পন্ন হয়ে যায়। এই দেশে যেন অদ্ভুত প্রশাসন ও প্রশাসনিক আইন-শৃঙ্খলা। সর্বাগ্রে এই প্রশাসনের উপরতলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত বিরাজিত অবিমৃষ্যকর গাফিলতির চর্চা থেকে মুক্তি চাই, তার জন্য বদল চাই। তাহলেই প্রশাসনের শাসনের অপচ্ছায়া সরে গিয়ে সূর্যের তরতাজা রোদ পড়বে দেশের জমিনে। ফিরে আসবে সুসময়, সমৃদ্ধি ও সুখ। টাঙ্গুয়ার হাওর মুক্ত হবে অত্যাচারের নাগপাশ থেকে। টাঙ্গুয়ার কীছু চাই না। টাঙ্গুয়ায় মানুষের উপস্থিতি অবৈধ করে দেওয়া হোক, আগামী কয়েক বছরের জন্য। টাঙ্গুয়ার চাই একটি নির্ভেজাল অবসর। নির্জনতার পরিসরে অবসর পেলেই টাঙ্গুয়া নিজে নিজেই তার নিজের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবে। তখন সে আবার নবযৌবনা হাওরনন্দিনী হয়ে হাজির হবে বিশ^প্রকৃতির সভায় বিশ^বিরল নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ