বালু দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফসলরক্ষা বাঁধ!
- আপলোড সময় : ২৫-০১-২০২৫ ১০:৪১:০৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৫-০১-২০২৫ ১০:৪১:০৯ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই বালু দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফসলরক্ষা বাঁধ। শুধু তাই নয় বাঁধের পাশ থেকেই বালু উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণকাজ করা হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের পুরান বারুঙ্কা বড় খলার বাঁধের কাজের বিষয়ে এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। শুধু এই বাঁেধই নয়, উপজেলার ৭৬টি বাঁধের প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনো বাঁধে সঠিকভাবে দুরমুজ করা হচ্ছে না। কোন রকমে মাটি ফেলে দায়সারা বাঁধ নির্মাণ কাজ করছে। এছাড়াও অনেক বাঁধের কাজ এখনও শুরুই হয়নি। অপরদিকে ৭টি পিআইসি কমিটির সভাপতি বাঁধ নির্মাণ কাজ করতে পারবেন না বলে আবেদন করেছেন।
পুরান বারুঙ্কা বড় খলা বাঁধের পাশের বাসিন্দা বোরহান উদ্দিন, আব্দুল মুমিন জানান, বালু দিয়ে বাঁধ করায় বৃষ্টির পানিতেই এই বাঁধ ভেঙে যাবে পাহাড়ি ঢলের পানি আসার আগেই। সেই সাথে বাঁধের পাশেই আমার বাড়িও ভেঙে যাবে। প্রতি বছর মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করেও টিকানো কষ্ট হয়। আর এখন বালু দিয়ে বাঁধ কিভাবে টিকবে?
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজ মিয়া জানান, বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বালুর বাঁধ হলেও কৃষকদের কোনো লাভ হবে না। পানি আসলেই এটি ভেঙে যাবে। সেই সাথে হাজার হাজার কৃষকের কষ্টে ফলানো বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে যাবে।
তবে বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি জমিরুল হক। তিনি জানান, বালুমিশ্রিত মাটি। আর বাঁধের কাছ থেকে নয় নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে বালুমিশ্রিত মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণকাজ চলছিল। তবে আজকে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এসও সাহেবের কথায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাহিরপুরের দায়িত্বে থাকা এসও মনির হোসেন জানান, বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণের খবর পেয়ে লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে। বালু না সরানো পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে। বালু সরিয়ে নতুন করে মাটি দিতে হবে। এই প্রকল্পে প্রায় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বালু দিয়ে তৈরি বাঁধ নির্মাণ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি সভাপতি আবুল হাসেম জানান, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আর বাঁধ নির্মাণকাজ দেরি হওয়ার কারণ হিসাবে তিনি জানান, হাওরে পানি থাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য মাটি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাঁধের কাজ শুরু করতে দেরী হচ্ছে। এ কারণে কয়েকটি পিআইসি কাজ করতে পারবে না বলে আবেদন করেছে। বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ