সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ , ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুরমার ভাঙনে বদলে যাচ্ছে ৩ গ্রামের মানচিত্র, ভাঙন রোধে নেই পদক্ষেপ ‘ডিসেম্বরই শেষ সময়’, আজ যুগপৎ সঙ্গীদের সঙ্গে বসছে বিএনপি ফসল তোলার উৎসব-সংগ্রামে একাকার হাওর-ভাটির কৃষক উৎকণ্ঠার মধ্যেই হাওরে ধান কাটার ধুম কোন কৃষককে হয়রানি করা যাবে না : খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিএনপি ও কৃষক দলের সংবাদ সম্মেলন বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অর্থায়নে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালুর দাবিতে এবার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বেড়েছে অগ্নিকান্ডের ঘটনা, তিন মাসে জেলায় ৮৭ অগ্নিদুর্ঘটনা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, দুশ্চিন্তায় কৃষক জগন্নাথপুরে ভোক্তা অধিকার আইন বিষয়ক সভা ঢাকা ছাড়তে পুলিশের আবেদনের হিড়িক, ছয় মাসে সাড়ে সাত হাজারের বেশি বদলির আবেদন সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী খুন সীমান্তে ভারতীয় ১২ গরু জব্দ হাসপাতাল চালুর দাবিতে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জন বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ হাওরে চড়ক উৎসবে মানুষের ঢল ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা, দ্রুত পাকা ধান কাটার আহ্বান

বুঙ্গার কারবার ঠেকানো একটি কর্তৃপক্ষীয় কর্তব্য

  • আপলোড সময় : ২২-০১-২০২৫ ০৮:৩১:১৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০১-২০২৫ ০৮:৩১:১৩ পূর্বাহ্ন
বুঙ্গার কারবার ঠেকানো একটি কর্তৃপক্ষীয় কর্তব্য
সংবাদে প্রকাশ (২১ জানুয়ারি ২০২৫), সীমান্তে কর্তব্যরত সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি-এর সদস্যরা কোটি টাকার মাল আটক করেছেন। এমন বুঙ্গার মাল মাঝে মাঝেই নয় বরং বলা ভালো প্রতিনিয়ত আটক করা হয়। সীমান্তে এমন ঘটনা নিত্যদিনের এবং সেখানকার মানুষের জীবনের অপরিহার্য বাস্তবতা। প্রকৃতপ্রস্তাবে সীমান্তকে চোরাচালানের আর্থনীতিক কর্মকা- থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার কোনও অবকাশ নেই। বুঙ্গা কিংবা চোরাচালান সংশ্লিষ্ট দুই দেশের সীমান্তে সংঘটিত অবৈধ ব্যবসায় ভিন্ন অন্য কীছু নয়। এমন ভাবনা যে কেউ করতেই পারেন যে, এই ব্যবসাকে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনি পদ্ধতিতে বৈধ করে নিলেই হয়, কোনও ঝামেলা থাকে না। সাদামাটাভাবে দেখলে সাধারণত দুই দেশের মধ্যে এমনটাই হয়ে থাকে, পারস্পরিক সুবিধাজনক বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে কোনও একটা কারবারি চুক্তির মাধ্যমে। কিন্তু সীমান্ত সংলগ্ন অথবা অসংলগ্ন দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন রাজনীতিক, অর্থনীতিক কারণে এমন বাণিজ্যচুক্তি সচরাচর সম্পন্ন হয়ে উঠে না এবং মাঝপথে দুই দেশের সাধারণ মানুষের চাহিদার যোগান দিতে বুঙ্গার কারবারের উদ্ভব ঘটে, কীছুতেই প্রতিহত করা যায় না। বলা হচ্ছে- সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় ৪০টি ‘বুঙ্গার ঘাট’ (যে স্থান দিয়ে দুই দেশের অবৈধ মালামাল আনা-নেওয়া করা হয়) সচল আছে। এটা কী করে সম্ভব? আসলে সম্ভব এজন্য যে, সীমান্তরক্ষীরা বুঙ্গার কারবার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার জন্যে ঊর্ধ্বতনের পক্ষ থেকে আদিষ্ট নন। সংবাদে বলা হয়েছে, “বিশ^ম্ভরপুর সীমান্তের শিলডোয়ার ও গামাইতলা গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় রতনের ঘাটের সীমানা। এই ঘাটের সোজাসুজি এলাকায় সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়া প্রায় সবসময়ই কাটা (ছেঁড়া) থাকে, এদিক দিয়ে যাতায়াত করা যায় অবাধে। বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঝে মধ্যে বন্ধ করা হলেও এক-দুইদিন পরই আবার কেটে পথ করেন চোরাকারবারিরা।” এমতাবস্থায় শেষ পর্যন্ত প্রতিপন্ন হয় যে, কর্তৃপক্ষীয় প্রতিরোধের ভেতরে অপ্রতিরোধ্যতার প্রক্রিয়া সচল থাকে। মুক্তবাজার অর্থনীতির পতাকা তলে এমন বুঙ্গার কারবার নিতান্ত স্বাভাবিক, বিশ^জুড়া পুঁজির প্রভুত্বকে উৎখাত না করে বুঙ্গার কারবার প্রতিহত করা যাবে না। সুনামগঞ্জের ৯৫ কিলোামিটার সীমান্তজুড়ে বুঙ্গার কারবার হচ্ছে এবং হবে, এটা ঠেকানোর জন্য কর্তৃপক্ষীয় কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা কর্তৃপক্ষকেই নির্ধারণ করতে হবে। এখানে গায়ে পড়ে পরামর্শ দেওয়ার কোনও অবকাশ নেই।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স