সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়: শিক্ষক সংকটে ব্যাহত পাঠদান
- আপলোড সময় : ২২-০১-২০২৫ ০৭:৫৪:৫০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২২-০১-২০২৫ ০৭:৫৪:৫০ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে স্বাভাবিক পাঠদান চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। ৫৩জন শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ৪২জন। ১১ জন শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য আছে। এতে স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা।
প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে ৫৩জনের পদ রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের পদও শূন্য। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে একজন যোগ দিয়েছেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের দুটি পদই শূন্য। ফলে প্রশাসনিক কাজে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
এছাড়াও বাংলা বিভাগের ১জন, ইংরেজি বিভাগের ১জন, গণিত বিভাগের ১জন, সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের ১জন, ব্যবসায় শিক্ষার ২জন, কৃষি শিক্ষার ১জন, ভূগোলের ১জন এবং চারুকলা বিভাগের ২জন শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। বিশেষ করে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিভাগের মতো গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ের পদ শূন্য থাকায় ছাত্ররা পিছিয়ে পড়ছে পাঠদান থেকে। শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষকরা জোড়াতালি দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। অভিভাবকরা শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এই সংকট কাটানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
অভিভাবক দুর্গাপদ ঋষি বলেন, জুবিলী একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়। দেশ-বিদেশে সুনাম আছে প্রতিষ্ঠানটির। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে অবিলম্বে শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে। না হলে প্রতিষ্ঠানটি পিছিয়ে পড়বে।
অভিভাবক হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, ঐতিহ্যবাহী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে নিয়মিত পাঠদানে। বিজ্ঞান, গণিত ও ইংরেজির মতো বিষয়গুলোতে শিক্ষক সংকট থাকায় ছাত্ররা পিছিয়ে পড়েছে। প্রোজ্জ্বল ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে জোড়াতালি দিয়ে আমাদের পাঠদান চালাতে হচ্ছে। তবে এই সংকটের মধ্যেও আমরা আন্তরিকভাবে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। এতে শিক্ষকদের উপর চাপ বেড়েছে। শিক্ষার্থীরাও এই সংকটের কারণে পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেনা। আমাদের শিক্ষক সংকট দূর করা জরুরি।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ঝলক রঞ্জন তালুকদার বলেন, সংকটের কথা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তবে এই সংকটের কারণে পাঠদানে যাতে বড়ো রকমের প্রভাব যাতে না পড়ে সেদিকে আমারে শিক্ষকদের দৃষ্টি আছে। সবাই আন্তরিক পরিবেশেই পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ