বিজ্ঞান বিভাগের অনুমোদন চায় কর্তৃপক্ষ
যুগের চাহিদা পূরণ করে এগোতে চায় পৌর কলেজ
- আপলোড সময় : ১৯-০১-২০২৫ ০৮:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-০১-২০২৫ ০৮:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বিনা বেতনে অধ্যাপনা করেছেন পৌর ডিগ্রি কলেকের একাধিক শিক্ষক। এক পর্যায়ে তারা নিজেদের টাকায় কলেজের জন্য জমি কিনেন। সেই জমিতে এখন নির্মিত হয়েছে ৫তলাবিশিষ্ট নান্দনিক ভবন। চলছে পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজ। তবে শ্রেণিকক্ষের সাময়িক সংকট দূর হলেও হাইটেক যুগের গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞান বিভাগের অনুমোদন পায়নি কলেজটি। উত্তর আধুনিক যুগের চাহিদা পূরণ করে জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নত শিখরে পৌছতে আশু বিজ্ঞান বিভাগ অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি সুকুমার বৃত্তি চর্চায় শহীদ মিনার ও খেলার মাঠের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
সুনামগঞ্জ পৌর কলেজের সংশ্লিষ্ট সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে প্রয়াত পৌর মেয়র দেওয়ান মমিনুল মউজদীনসহ শিক্ষানুরাগীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জ পৌর কলেজটি স্থাপিত হয়। প্রথমে বুলচান্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণিকার্যক্রম শুরু হয়। পরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পুরাতন কার্যালয়ের সামনে পুরাতন পৌর ভবনে ক্যাম্পাস স্থানান্তরিত হয়। সেখান থেকে ২০২২ সনে সুনামগঞ্জ শহরের প্রবেশমুখ ইকবাল নগরে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে কলেজে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী পাঠগ্রহণ করছে। শিক্ষক রয়েছেন ২৬ জন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে কলেজের সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, চিত্তরঞ্জন তালুকদার, মো. আবু নাসের, শুভংকর তালুকদার মান্না, রামানুজ রায় এবং নোয়াজ উদ্দিন কলেজ ক্যাম্পাসের জন্য ৩৭ শতক জায়গা ক্রয় করেন। নিজস্ব ক্যাম্পাস করার স্বপ্ন ও চিন্তা নিয়ে ৬জন শিক্ষাব্রতী শিক্ষক জমি কিনলেও রাজনৈতিক কারণে ক্যাম্পাসের অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় ৪ বছর আগে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ ৫তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়। ২০২২ সালে নির্মাণকাজ শেষ হলে নিজস্ব ভবনে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে কলেজটি। বর্তমানে আন্তরিক পরিবেশে পাঠদান চলছে। সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ-এর নেতৃত্বে শিক্ষকবৃন্দ ও পরিচালনা পরিষদ কলেজটির চেইন অব কমান্ড রক্ষায় আন্তরিক কাজ করেছেন।
শিক্ষা বিস্তারে কলেজটি জেলায় বিশেষ ভূমিকা রাখলেও যুযোপযোগী বিষয় বিজ্ঞান বিভাগের অনুমোদন পায়নি এখনো। বর্তমানে মানবিক ও ব্যবসায় শাখা বিভাগেই চলছে পাঠদান। তবে বিজ্ঞান বিভাগ খোলার জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লেখা হয়েছে। বর্তমানে চিঠিটি শিক্ষা বোর্ডে আছে এবং বিষয়টি অডিট পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান কলেজের সংশ্লিষ্টরা। সুন্দর একাডেমিক ভবন পেলেও খেলাধুলার জন্য মাঠের ব্যবস্থা নেই। নেই বীরদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর জন্য একটি শহীদ মিনার।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নোয়াজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষকদের আন্তরিকতায় ক্যাম্পাসের জমি কেনা একটি বিরল ঘটনা। আমাদের কেনা জমিতে ও আরো শিক্ষানুরাগীদের সহযোগিতায় এবং সরকারের উদ্যোগে এখন একাডেমিক ভবন হয়েছে। সাময়িক শ্রেণিকক্ষ সংকট দূর হয়েছে। তবে যুগের সঙ্গে টিকে থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিজ্ঞান বিভাগ এখনো খুলতে পারিনি আমরা। বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন বিষয়টি শিক্ষাবোর্ডে অডিট পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি শীঘ্রই অনুমোদন পাবো।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ