সুনামগঞ্জ , সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হাওরের পরিকল্পিত উন্নয়নে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি দেখার হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধে ধস নাটক ‘হা হা কার’ মঞ্চস্থ টাঙ্গুয়ার হাওরে ২৪টি নিষিদ্ধ রিং জাল জব্দ সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন গুম-খুনের বিচার অগ্রাধিকার দিয়ে করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান হাওরে ইজারা প্রথা বন্ধের দাবি সীমান্তে ৮৫৫ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ ধর্মপাশায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার কৃষি ব্যাংক, সুনামগঞ্জ মুখ্য অঞ্চলের অর্ধবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত জেলা জাপা’র নবনির্বাচিত আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ককে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ইব্রাহিমপুরে ছুরিকাঘাতে ইউপি সদস্য আহত কবি নাসের রাজার জন্মদিন পালন করলো সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদ প্রফেসর সৈয়দ মহিবুল ইসলামকে সংবর্ধনা দিল জলকন্যা সাহিত্য পরিষদ সর্ববৃহৎ সমাবেশের মাধ্যমে সুনামগঞ্জে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে চায় দলটি ধর্মপাশায় বাকপ্রতিবন্ধীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের বিক্ষোভ সুবিপ্রবি’র ক্যাম্পাস প্রস্তাবিত জায়গায় নির্মাণের দাবি পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষদের নিয়ে পিঠা উৎসব বন্যার ঝুঁকি মোকাবেলায় ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

কীটনাশকের নির্বিচার ব্যবহার ঠেকাতে পদক্ষেপ কোথায়

  • আপলোড সময় : ১৭-০১-২০২৫ ০৮:৫৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০১-২০২৫ ০৮:৫৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
কীটনাশকের নির্বিচার ব্যবহার ঠেকাতে পদক্ষেপ কোথায়
ড. মো. গোলাম ছারোয়ার পৃথিবীর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের শুধু বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো বোঝাই প্রয়োজনীয় নয়, আমাদের নৈতিক অধঃপতন, নির্বুদ্ধিতা ও অদূরদর্শিতাও বোঝা প্রয়োজন। ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ পঞ্চাশের দশকে যখন দায়িত্বপ্রাপ্তরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডিডিটি ব্যবহারের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করত, তখন মানুষ বুঝত না এ রাসায়নিক ধরিত্রীর জন্য আশীর্বাদ না অভিশাপ। ১৯৪৮ সালে ডিডিটির আবিষ্কারক পল হ্যারম্যান মুলারকে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার। মনে করা হতো, এ আবিষ্কার মানুষের জন্য এক আশীর্বাদ। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই এর বিরূপ প্রভাব লক্ষ করা যায়। তবে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বড় বড় কো¤পানি ডিডিটিসহ অন্যান্য কীটনাশক তৈরি ও বিক্রি করে অঢেল অর্থের মালিক বনে যান। এমনই এক সন্ধিক্ষণে র‌্যাচেল লুইস কার্সন নামে এক মেরিন বায়োলজিস্ট ¯্রােতের বিপরীতে গিয়ে ‘সাইলেন্ট স্প্রিং’-এর এক চরম বাস্তব গবেষণালব্ধ বই প্রকাশ করে সারা পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। এই মহীয়সী লেখিকা ১৯০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক ছোট্ট একটি খামারে বেড়ে ওঠা এ নারী শুরু থেকেই প্রকৃতি আর জীবজগৎকে আপন করে নিয়েছিলেন। তাই তো পরিণত বয়সে চ্যাটহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাছের রেচনতন্ত্রের ওপর মাস্টার্স শেষ করেন। প্রকৃতিপ্রেমী কার্সন নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের মৎস্য ব্যুরোর সম্প্রচারিত ‘রোমান্স আন্ডার দ্য ওয়াটার’ নামক অনুষ্ঠানে পান্ডুলিপি লেখার দায়িত্বে নিয়োজিত করেন। এ কথাগুলো এই কারণে বলছি যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রবাসীকে মেরিন বায়োলজি বিষয়ে চমৎকারভাবে সম্যক জ্ঞান বিতরণে কতটা তৎপর ছিলেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ডিডিটির সঙ্গে আরো কিছু কীটনাশক ও জীবাশ্ম জ্বালানি মিশিয়ে স্প্রে করার কারণে পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেছিল, এমনকি চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্য আইনের আশ্রয়ও নিয়েছিল। একইভাবে ওগাল ওয়েন্স হ্যাকিন্স নামক একজন মহিলার চিঠির অভিযোগে এ দুঃসাধ্য কাজটি করতে তিনি যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। যে ভদ্রমহিলা কার্সনকে চিঠি লিখেছিলেন তার অভিযোগ ছিল, তার এলাকায় অপ্রত্যাশিতভাবে পাখি মারা যাচ্ছে। বসন্তে আর পাখির কলকাকলি শোনা যায় না। আগে বর্ণিত ১৯৫০-এর দশকের শেষে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সামরিক সহায়তাপুষ্ট ল্যাবরেটরিগুলোয় রাসায়নিক কীটনাশক দ্রব্যের ব্যাপক গণউৎপাদন শুরু করেছিল। সবচেয়ে জনপ্রিয় কীটনাশকটি ছিল ডাইক্লোরোডাইফিনাইলট্রাইক্লোরোইথেন বা ডিডিটি, মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোয় ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশা নির্মূল করার জন্য এটি পরিকল্পিত হয়েছিল। এটি এত বেশি কার্যকরী এবং উপকারী ছিল যে এটি আবিষ্কারের জন্য রসায়নবিদ পল হ্যারম্যান মুলারকে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয়েছিল। তবে পরে প্রমাণিত হয়েছিল যে ডিডিটি আসলে একটি ফ্রাঙ্কেনস্টাইন-সুলভ আবিষ্কার। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়েছিল এটি শুধু ক্ষতিকর মশাই মারছে না, বরং ব্যবহার শুরু হওয়ার বহু মাস পরও এটি নানা ধরনের কীটপতঙ্গ মারতে থাকে। অর্থাৎ এর ম্যাক্সিমাম রেসিডিউ লেভেল অনেক হাই। এছাড়া ডিডিটি বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে, নালা, নদী ও নানা জলাশয়ে প্রবেশ করে। এর বিষক্রিয়ায় মাছ, মোল, শিয়াল, খরগোশ এমনকি জীবিত এমন প্রায় সব প্রাণীকেই আক্রান্ত করতে পারে। ডিডিটির ব্যবহার পৃথিবীর খাদ্য সরবরাহ দূষিত করারও শক্তি ছিল। এছাড়া মানুষের শরীরে ¯েœহপদার্থ সংগ্রহকারী কোষগুলোয় এটি জমা হয় এবং বায়ো-অ্যাকুমুলেশন তৈরি করে, যা পরে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়। বইটি তীব্র একটি প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল। যদিও কার্সন প্রতিষ্ঠিত একজন লেখক ছিলেন, কিন্তু বিভিন্ন ম্যাগাজিন আর খবরের কাগজগুলো তার মতামত বর্জন করতে শুরু করেছিল। যে বিজ্ঞানীরা ডিডিটি আবিষ্কারে সহায়তা করেছিলেন আর যে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তারা যুক্ত ছিলেন, তারা ক্ষুব্ধ হয়ে কীটনাশকের ঝুঁকি নিয়ে কার্সনের সাবধানবাণীর বিরুদ্ধে তাদের পাল্টা যুক্তি প্রস্তাব করেছিলেন। মনসান্টোর মতো কো¤পানিগুলো কার্সনের বইটির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদসহ লেখা প্রকাশ করেছিল এবং একই সঙ্গে কার্সনকে নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করাও অব্যাহত রেখেছিল। কোম্পানির একজন কর্মকর্তার ক্ষুব্ধ মন্তব্য ছিল, ‘যদি সবাই বিশ্বাসের সঙ্গে মিস কার্সনের শিক্ষা অনুসরণ করেন, আমরা তাহলে আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাব এবং পোকামাকড়, অসুখ আর জীবাণুরা আরো একবার পৃথিবী রাজত্ব করবে’। এজরা টাফট বেনসন, যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারের কাছে পাঠানো একটি মেমোতে লিখেছিলেন, যেহেতু মিস কার্সন শারীরিকভাবে অনাকর্ষণীয় এবং এখনো অবিবাহিত, তিনি ‘সম্ভবত একজন কমিউনিস্ট’। করপোরেশন আর তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ‘সাইলেন্ট স্প্রিং’ সব দেয়ালই ভাঙতে পেরেছিল। শক্তিশালী রাসায়নিক করপোরেশনগুলো থেকে সমালোচনা প্রত্যাশা করেই তিনি তার বইটি এমনভাবে প্রস্তুত করেছিলেন যেন মনে হতো, প্রকৃতির সপক্ষে এটি একটি আইনি লড়াই। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছিলেন ৫৫ পাতার একটি নোট, যেখানে তার যুক্তিগুলোর পক্ষে অকাট্য সব প্রমাণ ছিল। ‘সাইলেন্ট স্প্রিং’ শিরোনামটি একটি ভয়ানক ছবি আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরেছিল, এমন একটি পৃথিবী যেখানে কোনো গানের পাখি নেই, আসলেই প্রায় কোনো প্রাকৃতিক জীবনই সেখানে নেই। এটি শুরু হয়েছিল একটি নামহীন ছোট আমেরিকান শহরের বর্ণনা দিয়ে, যা পরিপূর্ণ ভোক্তাদের জন্য সুবিধায়, চোখ ধাঁধানো যন্ত্র আর সস্তা খাদ্যের দোকানে, কিন্তু সেখানে কোনো রবিন বা লেডিবার্ড নেই, লার্ক বা কাঠবিড়ালি নেই। একটি পৃথিবী যা স্পষ্টতই মানুষের সুবিধার্থে পরিবর্তিত হয়েছে, কিন্তু পরিণতিতে সেটি আর মানুষের পৃথিবী থাকে না। কার্সন আমাদের তাগিদ দেন প্রকৃতিকে মুক্তি দিতে, এটিকে নিজের মতো করে থাকতে দিতে, প্রকৃতি নিজেই এর কীটপতঙ্গদের অতিবংশবৃদ্ধি তার নিজের মতো করেই মোকাবেলা করবে। কিন্তু যদি মানুষ সেখানে হস্তক্ষেপ করে, অনাকাক্সিক্ষত কোনো প্রাণীগোষ্ঠী একপর্যায়ে সব বিষের বিরুদ্ধেই তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং তারপর খুব দ্রুত এটি আকারে বৃদ্ধি পাবে। কারণ যে কীটগুলো ক্ষতিকর অন্য কীটগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখে ও তাদের খাদ্যে পরিণত করে, তারাও কীটনাশকের প্রভাবে অজ্ঞাতসারে মৃত্যুবরণ করে ক্ষতিকারক পোকামাকড়ের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবে। ১৯৬২ সালে তার বইটি প্রকাশ হওয়ার ফলে মার্কিন সিনেটে তাকে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছিল। তার সুপারিশগুলোর সত্যতা অনুসন্ধানে প্রেসিডেন্ট বিজ্ঞানবিষয়ক উপদেষ্টাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ১৯৬৪ সালে তার মৃত্যুর আট বছর পর আমেরিকাসহ অন্যান্য রাষ্ট্রে ডিডিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল। আজ আমাদের সময় এসেছে বাংলাদেশে ব্যবহৃত সব কীটনাশকের এমআরএল অর্থাৎ ম্যাক্সিমাম রেসিডুয়াল লেভেল বা কতদিন পর্যন্ত কোথায় কোথায় কোন কীটনাশকের বিষক্রিয়া বিদ্যমান থাকে তার তালিকা প্রণয়ন করে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। একই সঙ্গে ফলমূল, শাকসবজি উৎপাদন ও সংরক্ষণে পিএইচআই বা প্রি-হারভেস্টিং ইন্টারভেল অর্থাৎ শস্য/ফলমূল, শাকসবজি হারভেস্ট করার ন্যূনতম কত আগ পর্যন্ত পেস্টিসাইডের ব্যবহার করা যাবে তার প্রকৃত গাইডলাইন তৈরি করার। মনে রাখতে হবে, আমরা প্রকৃতির অংশ। একে ক্ষুদ্র ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না। শুধুই অর্থনৈতিক লালসা চরিতার্থ করতে প্রকৃতির ওপর নির্বিচার আচরণ করা যাবে না। কেউ যদি অর্বাচীনের মতো মনে করে, প্রকৃতির ওপর বল প্রয়োগ করে ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারব তা নিতান্তই বোকামি হবে। এর পরিবর্তে আমাদের ভাবনা হবে আরো বেশি সৃজনশীল উপায়ে কীভাবে ক্ষতিকর পোকামাকড় থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি, যেমন পোকাদের নির্বীজন বা তাদের প্রজনন করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি অথবা ঠিক সেই রাসায়নিক ‘প্রলোভন’ ব্যবহার করে, যা পতঙ্গরা পর¯পরকে ধরার কাজে ব্যবহার করে। অথবা কোনো একটি ক¤পাঙ্কের শব্দ ব্যবহার করে, যা লার্ভাদের ধ্বংস করবে। অর্থাৎ ন্যূনতম কীটনাশকের ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) এবং সমন্বিত বাহক ব্যবস্থাপনার (আইভিএম) সমন্বয়ে সমন্বিত বালাই ও বাহক ব্যবস্থাপনা (আইপিভিএম) নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে এফএও ও ডব্লিউএইচওর একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশে কৃষি মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে। প্রকৃতি নিয়ে কোনো কিছু করার আগেই সবসময়ই আমাদের সেটিকে মূল্যায়ন, শ্রদ্ধা এবং এর প্রতি সেই বিস্ময় থাকা দরকার, সেই বোঝাপড়া যে এটি আসলেই একটি বড় শক্তি, যা আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে এবং যা মূলত মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং এখনো যা আমরা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। এবার আসছি মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক সংগ্রহ, পরিবহন ও ডিসপোজাল ব্যবস্থাপনায়। এ ব্যবস্থাপনা আমাদের দেশে বড়ই অপ্রতুল ও নাজুক। এ প্রক্রিয়ার সংশ্লিষ্টরা, পরিবেশ ও অন্যান্য প্রাণিকুল অত্যন্ত মারাত্মকভাবে বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিষক্রিয়া স¤পর্কে জ্ঞানের অভাব, যথাযথ ট্রেনিংয়ের অভাব, বিশেষ করে ইমারজেন্সি রেসপন্স প্ল্যান বা ইআরপি, লিচিং, স্পিলিং, অত্যন্ত কম ফ্লাশ পয়েন্ট সমৃদ্ধ কীটনাশকগুলোর ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত তাপমাত্রার ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা বিশাল ঝুঁকিতে আছি। এ ক্ষেত্রগুলোয় আমাদের দেশে রাসায়নিক কীটনাশক নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা এবং উৎপাদিত কো¤পানিগুলোর ভূমিকা অবশ্যই সমগ্র জীব প্রজাতির নিরাপত্তার নিরিখে হওয়া উচিত, অর্থনৈতিক ভাবনার নিরিখে নয়। ড. মো. গোলাম ছারোয়ার: অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কীটতত্ত্ব বিভাগ, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান (নিপসম)

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
হাওরের পরিকল্পিত উন্নয়নে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি

হাওরের পরিকল্পিত উন্নয়নে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি