সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
একীভূতের চিন্তা এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সবজির দাম চড়া, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ ঢল ও বৃষ্টিতে আমন জমিতে পানি, ক্ষতির শঙ্কায় কৃষক টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটনের ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে ৯ ধরনের মামলার আগে মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক দুই মাসের মধ্যে সব খাস জমির হিসাব নেওয়া হবে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা সীমান্তে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় গরু জব্দ চার আদিবাসী গ্রামে সুপেয় পানির সংকট সুরমার তীরে ময়লার ভাগাড় টাঙ্গুয়ার ‘দম যায় যায়’ অবস্থা দলগুলোর মতানৈক্য : মাঠে গড়াচ্ছে রাজনীতি পূর্ব ও পশ্চিম নতুনপাড়ার জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি শিশুশ্রম মুক্ত আদর্শ সুনামগঞ্জ পৌরসভা ঘোষণা বিষয়ে সভা দেখার হাওরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নয় পথে যেতে যেতে : পথচারী হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর ‘ফুল স্পিডে’ চলছে সংসদ নির্বাচনের কেনাকাটা ভূমিকম্পে তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ১০ স্থানে ফাটল সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে দায়িত্ব হস্থান্তর ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
অটোরিকসা ছিনতাই করতেই খুন

জামালগঞ্জে আকরাম হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

  • আপলোড সময় : ১৬-০১-২০২৫ ০৮:৩০:৩৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০১-২০২৫ ০৮:৩০:৩৭ পূর্বাহ্ন
জামালগঞ্জে আকরাম হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার :: জামালগঞ্জে আকরাম হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে রিপন আহমদ (৩৪)। গ্রেফতারের পর খুনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত রিপন আহমদ। সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জানায়, সুনামগঞ্জের মোহাম্মদপুর এলাকার ফারুক মিয়ার গ্যারেজ থেকে প্রতিদিন রিকসা ভাড়া নিয়ে সে শহরে যাত্রীসেবা দিতো। রিপন নিজের জন্য নতুন একটি অটোরিকসা ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয়ের জন্য দরদাম করে। কিন্তু তার কাছে ৩৫ হাজার টাকা কম থাকায় সে রিকসাটি ক্রয় করতে পারছিল না। পরবর্তীতে সে রিকসাটি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ৩৫ হাজার টাকার ব্যবস্থা করার জন্য আকরাম হোসেনের অটোরিকসা ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। পরে আকরাম হোসেনকে প্রতি ঘণ্টায় একশ টাকা ভাড়া দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে সুনামগঞ্জ শহর থেকে রওয়ানা দিয়ে তাকে জামালগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যায় রিপন। জামালগঞ্জ যাওয়ার পর সেখান থেকে আবার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের নির্জন হাওরে যেতে বলে সে। আকরাম হোসেন এতো রাতে নির্জন স্থানে যাওয়ার বিষয় জানতে চাইলে রিপন জানায় আরেকটু সামনেই বাড়িঘর আছে। কোনো সমস্যা হবেনা। এভাবে একপর্যায়ে ফেনারবাঁকের রাঁজাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের উড়ার বিলের কাছে গিয়ে আকরাম হোসেনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে রিপন। এসময় দুজনের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অটোরিকসাটি ধান ক্ষেতে পড়ে যায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে অন্য আরেকটি যাত্রীবাহী অটোরিকসা আসতে দেখে রিকসা ও আহত অবস্থায় আকরাম হোসেনকে ফেলে দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে রিপন। ঘটনার পর রাতেই রিপন তার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাড়িতেই অবস্থান করেছিল। পরদিন সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় তার বড়ভাইয়ের কাছে যায়। সেখানে নিহত আকরাম হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি তার বড় ভাইয়ের কাছে রেখে তার ভাইয়ের ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি নিয়ে রিপন পুনরায় সুনামগঞ্জের মোহাম্মদপুর এলাকায় চলে আসে। রিপনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি ঘটনাস্থল ও নিহত আকরাম হোসেনের ব্যবহৃতি মোবাইল ফোনটি গোলাপগঞ্জ তার ভাইয়ের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আকরাম হোসেনের পিতা মামলার বাদী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলের খুনিকে দ্রুত গ্রেফতার করায় জামালগঞ্জ থানা পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি খুনি রিপন মিয়ার ফাঁসির দাবি জানাই। এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ.ম কামাল হোসেইন জানান, ঘটনার তিন দিনের মধ্যেই আমরা আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স