সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ , ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুরমার ভাঙনে বদলে যাচ্ছে ৩ গ্রামের মানচিত্র, ভাঙন রোধে নেই পদক্ষেপ ‘ডিসেম্বরই শেষ সময়’, আজ যুগপৎ সঙ্গীদের সঙ্গে বসছে বিএনপি ফসল তোলার উৎসব-সংগ্রামে একাকার হাওর-ভাটির কৃষক উৎকণ্ঠার মধ্যেই হাওরে ধান কাটার ধুম কোন কৃষককে হয়রানি করা যাবে না : খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিএনপি ও কৃষক দলের সংবাদ সম্মেলন বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অর্থায়নে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালুর দাবিতে এবার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বেড়েছে অগ্নিকান্ডের ঘটনা, তিন মাসে জেলায় ৮৭ অগ্নিদুর্ঘটনা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, দুশ্চিন্তায় কৃষক জগন্নাথপুরে ভোক্তা অধিকার আইন বিষয়ক সভা ঢাকা ছাড়তে পুলিশের আবেদনের হিড়িক, ছয় মাসে সাড়ে সাত হাজারের বেশি বদলির আবেদন সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী খুন সীমান্তে ভারতীয় ১২ গরু জব্দ হাসপাতাল চালুর দাবিতে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জন বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ হাওরে চড়ক উৎসবে মানুষের ঢল ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা, দ্রুত পাকা ধান কাটার আহ্বান

৬ মাস ধরে নিখোঁজ কলেজ ছাত্রী সন্তানের অপেক্ষায় পরিবার

  • আপলোড সময় : ১৬-০১-২০২৫ ০৮:০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০১-২০২৫ ০৮:০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
৬ মাস ধরে নিখোঁজ কলেজ ছাত্রী সন্তানের অপেক্ষায় পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার : আলিমা আক্তার (১৬) নামে এক কলেজ ছাত্রী দীর্ঘ ৬ মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এনিয়ে দুশ্চিন্তা এবং অজানা আতঙ্কে রয়েছেন তার পরিবার ও স্বজনরা। আলিমা আক্তার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারুল হকের মেয়ে। এ ব্যাপারে ২০২৪ সালের ২ আগস্ট শুক্রবার মেয়েটির বাবা আনোয়ারুল হক সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নং-৮৯। তবে এখনও আলিমা আক্তারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আলিমা আক্তার ২০২৪ সালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস উজানীগাঁও রশিদিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাস করে। কলেজে ভর্তি হতে পরম আনন্দে দিন কেটেছিল তার। তবে ভর্তি শেষে কলেজ জীবন শুরু করার আগেই নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। তার স্বজনরা জানান, নিখোঁজ আলিমা আক্তারের গায়ের রং শ্যামলা, মাথায় লম্বা কালো চুল, উচ্চতা ৫ ফুট ১ ইঞ্চি। তার পরিবারে পিতা-মাতা, ২ ভাই ও ৩ বোন রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আলিমা আক্তার নিজ বাড়ির পিছনের দক্ষিণ দিকে গাছ-গাছালি ও ঝোপ জঙ্গল আকৃতির বড়সড়ো নির্জন জায়গায় প্রায় প্রতিদিন সবজি তুলতে যেতো। এর পাশেই রয়েছে মরা সুরমা নামের দীর্ঘ খাল। প্রায় সময় ওই স্থানে নীরবে-নিভৃতে সময় কাটাতো সে। নির্জন জায়গা অতিক্রম করে আবার পাশের বাড়িতে সমবয়সী মেয়েদের সাথেও গল্প করতে আসা-যাওয়া করতো। গত ২ আগস্ট দুপুর অনুমান ১টা। ওইদিন তার সাথে ছিল পরিবারের মোবাইল ফোন। এসময় ফ্রান্স থেকে ফুফুতো ভাই জুবায়ের আহমদ ফোন করে আলিমা আক্তারের সাথে কথা বলছিলেন। কথা বলার এক পর্যায়ে ভয়ঙ্কর এক চিৎকার শুনতে পান আলিমা’র কণ্ঠে। প্রবাসী জুবায়ের আহমদের অনুমানে কোনো বড় ঘটনা ঘটে গেছে এমন আশঙ্কায় হতাশ হয়ে আলিমার কাছে একের পর এক কল দিতে থাকেন। কিন্তু ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের অন্য মোবাইলে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন। তখন তারাও রিসিভ করছিলেন না ফোন। প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর পরিবারের একজন কল ধরেন। ঘটনা বলার সাথে সাথে আলিমাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা। মরা সুরমা খালে, ঝোপঝাড়ে সব স্থানে খোঁজাখুজি করেন। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে বৃক্ষ বাগানের জামগাছের নিচে খালের পাড়ে শুধু আলিমার এক পায়ের একটি জুতা পাওয়া যায়। ওইদিন রাতে সদর মডেল থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি করেন পিতা আনোয়ারুল হক। এরপর সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা সরেজমিনে তদন্ত করেন। তথ্য উদঘাটন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন আলিমার সন্ধান চান। বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে আলিমা আক্তারের মামাতো ভাই শিব্বির আহমদ জানান, আমার বোনকে কেউ অপহরণ করলে অবশ্যই মোবাইলে টাকা চাইতো। খালের পানিতে পড়লেও সে সাঁতার জানে। বিয়ে-সাদীরও বয়স হয়নি বা কোনো ইভটিজিংয়ের শিকার হয়নি আলিমা। তিনি জানান, আমার একটি পরিবার নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। যে বাড়িতে আলিমা সমবয়সী মেয়েদের সাথে গল্প করতো, এই ঘটনার পরেই আমাদের সাথে স¤পর্ক প্রায় ছিন্ন হয়ে গেছে ওই পরিবারের। কেন হলো, এটাই আমার সন্দেহ। কারণ ওই ঘরের পাশেই দিন দুপুরে নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই ঘটনায় তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। আমাদের ছেড়ে একদম আলাদা চলাফেরা করছে। নিখোঁজ আলিমা আক্তারের পিতা আনোয়ারুল হক জানান, আমি ঘটনার দিন মেয়ের নিখোঁজের বিষয় উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি করেছি সদর মডেল থানায়। কিন্তু আমার মেয়েকে ফিরে পাচ্ছি না। আমি আমার মেয়ের সন্ধান চাই। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, আমি সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে কলেজ শিক্ষার্থী নিখোঁজের বিষয়টি জেনেছি। এর আগে পুলিশ একাধিকবার তদন্ত করেছে। এখন আমার পক্ষ থেকে বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স