সুনামগঞ্জ , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটি গঠন গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ বইমেলা আমাদের সংস্কৃতি আর জ্ঞানের প্রতীক- জেলা প্রশাসক ২০১৮ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি বিএনপির বর্ধিত সভা এবার সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের পরিকল্পনা সভা আল-আকসা কিন্ডারগার্টেন উদ্বোধন সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসনাত কাওসার গ্রেফতার শিক্ষকের মারধরে ছাত্র আহত অ্যাড. নূরুল ইসলামের সমর্থনে প্রচার সভা ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ এখনো অনেক কাজ বাকি এবারও হাওরের মাটি কাটা হচ্ছে কলমে! জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন জগন্নাথপুরে ৩ দোকান থেকে নগদ অর্থসহ অর্ধকোটি টাকার মোবাইল চুরি মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাণীগঞ্জ মাদ্রাসায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন চালু : স্বল্প মূল্যে সেবা পাবেন রোগীরা ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

সংস্কার হচ্ছে ছাতক-সিলেট রেলপথ

  • আপলোড সময় : ০৩-০১-২০২৫ ১০:২০:০৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০১-২০২৫ ১০:২০:০৭ পূর্বাহ্ন
সংস্কার হচ্ছে ছাতক-সিলেট রেলপথ
স্টাফ রিপোর্টার :: দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ছাতক-সিলেট রেলপথ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বন্যায় সিলেট-ছাতক সেকশনের ক্ষতিগ্রস্ত মিটার গেজ ট্র্যাক সংস্কারের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৩৬৯ টাকা। বৃহ¯পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট থেকে ছাতক বাজার সেকশন (মিটার গেজ ট্র্যাক) পুনর্বাসন প্রকল্পের ডব্লিউডি-১ প্যাকেজের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। ৪টি দরপত্রই টেকনিক্যালি রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনি¤œ দরদাতা প্রতিষ্ঠান মীর আখতার হোসেন লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৩৬৯ টাকা। প্রকল্পটি একনেক থেকে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই প্রকল্পের ব্যয়ের ৮০ শতাংশ ইউএস ডলার এবং ২০ শতাংশ বাংলাদেশি টাকায় পরিশোধ করা হবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বন্যায় সিলেট থেকে ছাতক পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেললাইনের এমব্যাংকমেন্ট ও রেলপথ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে রেল চলাচল বন্ধ আছে। রেলপথটি পুনর্বাসন করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করার জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ আমল থেকে শিল্পশহর হিসেবে ছাতকের খ্যাতি। সে সময় সিলেট থেকে ছাতক পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারিত হয়েছিল বাণিজ্যিক কারণে। এরপর পরিকল্পনা ছিল সেখান থেকে সুনামগঞ্জ জেলা শহর (তৎকালীন মহকুমা) পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেলমন্ত্রী থাকাকালে সেই পুরোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে রেল মন্ত্রণালয় থেকে তিনি সরে গেলে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। নতুন পরিকল্পনায় রেললাইনটি ছাতককে বাদ দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জে নেওয়ার কথা বলা হয়। এর প্রতিবাদ জানান সেই সময়ের স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। মন্ত্রী-এমপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। জানা যায়, সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনে দুটি পথের কথা বলা হয়েছিল। রেলওয়ের দায়িত্বশীলদের বেশির ভাগ ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ নতুনপাড়া ও কালীপুরের মাঝের হাওর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। দুই কিলোমিটার জালিয়ার হাওর এবং বাকি পথ এখনকার সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতার কাজ স¤পন্ন হয়েছিল। যৌথভাবে এই সম্ভাবতার সমীক্ষা ও নকশা প্রণয়ের কাজ করে বাংলাদেশের মজুমদার এন্টারপ্রাইজ এবং চীনের সিএইচইসি। কিন্তু এরপর আর কোনো অগ্রগতির খবর পাওয়া যায় না। সরেজমিনে সমীক্ষা করা হলে বিদ্যমান আফজালাবাদ স্টেশন থেকে দক্ষিণ খুরমা, শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ রুটটি রেলপথ নির্মাণের জন্য সবচেয়ে উপযোগী বলে বিবেচিত হয়। সমীক্ষায় বলা হয়- ৪৫ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার অ্যালাইনমেন্টে টপোগ্রাফিক (ভূমি) জরিপের কাজ করা হয়েছে। এই রুটে আছে ৬৬টি ছোট-বড় জলাভূমি। দক্ষিণ খুরমা, শান্তিগঞ্জে দুটি স্টেশন নির্মাণ করতে হবে। রেলপথ নির্মাণের জন্য সরাতে হবে ১২৮টি বসতবাড়ি ও অবকাঠামো। সাড়ে ১৩ হাজার গাছ কাটা পড়বে। পাঁচটি স্টেশনের জন্য ৫০ একরসহ মোট ৬১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। প্রকল্পটির কাজ এরপর আর এগোয়নি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ

গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ