সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভাটিবৃন্ত ফাউন্ডেশনের গুনীজণ সম্মাননা দোয়ারাবাজারে উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক জলমগ্ন জমিনে দশ হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ ব্যাহত জনগণের ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি : ড. কামাল হোসেন উপযুক্ত পরিবেশ হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান : সালাহউদ্দিন সেনাবাহিনীকে সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বিনামূল্যে ৮৮০৫ দুঃস্থ নারী পাচ্ছেন পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল ৬৬৫ লিটার মদসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার খেলাঘরের উদ্যোগে তিন গুণীজনকে স্মরণ মঙ্গলবার রাতে লন্ডন যাত্রা করবেন খালেদা জিয়া নির্বাচনের আগেই সব সংস্কার প্রয়োজন নেই : জোনায়েদ সাকি আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই : জামায়াত আমির আমরা চক্রান্তের কাছে মাথানত করবো না : মির্জা ফখরুল পানি উঠছে না লক্ষাধিক নলকূপে ভেস্তে গেছে অর্ধকোটি টাকার প্রকল্প জমিয়ত নেতা মুখলিছুর রহমানকে সংবর্ধনা লোকনাথ সরলা কুলসুম বিবি বৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণী মোল্লাপাড়ায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির শীতবস্ত্র বিতরণ ভারতে পাচারকালে ৬২ বস্তা রসুনসহ আটক ৩ শাল্লায় উদীচীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত সীমান্তে তৎপর বিজিবি : এক বছরে ৪২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

সংস্কার হচ্ছে ছাতক-সিলেট রেলপথ

  • আপলোড সময় : ০৩-০১-২০২৫ ১০:২০:০৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০১-২০২৫ ১০:২০:০৭ পূর্বাহ্ন
সংস্কার হচ্ছে ছাতক-সিলেট রেলপথ
স্টাফ রিপোর্টার :: দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ছাতক-সিলেট রেলপথ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বন্যায় সিলেট-ছাতক সেকশনের ক্ষতিগ্রস্ত মিটার গেজ ট্র্যাক সংস্কারের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৩৬৯ টাকা। বৃহ¯পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট থেকে ছাতক বাজার সেকশন (মিটার গেজ ট্র্যাক) পুনর্বাসন প্রকল্পের ডব্লিউডি-১ প্যাকেজের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। ৪টি দরপত্রই টেকনিক্যালি রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনি¤œ দরদাতা প্রতিষ্ঠান মীর আখতার হোসেন লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৩৬৯ টাকা। প্রকল্পটি একনেক থেকে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই প্রকল্পের ব্যয়ের ৮০ শতাংশ ইউএস ডলার এবং ২০ শতাংশ বাংলাদেশি টাকায় পরিশোধ করা হবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বন্যায় সিলেট থেকে ছাতক পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেললাইনের এমব্যাংকমেন্ট ও রেলপথ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে রেল চলাচল বন্ধ আছে। রেলপথটি পুনর্বাসন করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করার জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ আমল থেকে শিল্পশহর হিসেবে ছাতকের খ্যাতি। সে সময় সিলেট থেকে ছাতক পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারিত হয়েছিল বাণিজ্যিক কারণে। এরপর পরিকল্পনা ছিল সেখান থেকে সুনামগঞ্জ জেলা শহর (তৎকালীন মহকুমা) পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেলমন্ত্রী থাকাকালে সেই পুরোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে রেল মন্ত্রণালয় থেকে তিনি সরে গেলে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। নতুন পরিকল্পনায় রেললাইনটি ছাতককে বাদ দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জে নেওয়ার কথা বলা হয়। এর প্রতিবাদ জানান সেই সময়ের স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। মন্ত্রী-এমপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। জানা যায়, সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনে দুটি পথের কথা বলা হয়েছিল। রেলওয়ের দায়িত্বশীলদের বেশির ভাগ ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ নতুনপাড়া ও কালীপুরের মাঝের হাওর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। দুই কিলোমিটার জালিয়ার হাওর এবং বাকি পথ এখনকার সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতার কাজ স¤পন্ন হয়েছিল। যৌথভাবে এই সম্ভাবতার সমীক্ষা ও নকশা প্রণয়ের কাজ করে বাংলাদেশের মজুমদার এন্টারপ্রাইজ এবং চীনের সিএইচইসি। কিন্তু এরপর আর কোনো অগ্রগতির খবর পাওয়া যায় না। সরেজমিনে সমীক্ষা করা হলে বিদ্যমান আফজালাবাদ স্টেশন থেকে দক্ষিণ খুরমা, শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ রুটটি রেলপথ নির্মাণের জন্য সবচেয়ে উপযোগী বলে বিবেচিত হয়। সমীক্ষায় বলা হয়- ৪৫ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার অ্যালাইনমেন্টে টপোগ্রাফিক (ভূমি) জরিপের কাজ করা হয়েছে। এই রুটে আছে ৬৬টি ছোট-বড় জলাভূমি। দক্ষিণ খুরমা, শান্তিগঞ্জে দুটি স্টেশন নির্মাণ করতে হবে। রেলপথ নির্মাণের জন্য সরাতে হবে ১২৮টি বসতবাড়ি ও অবকাঠামো। সাড়ে ১৩ হাজার গাছ কাটা পড়বে। পাঁচটি স্টেশনের জন্য ৫০ একরসহ মোট ৬১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। প্রকল্পটির কাজ এরপর আর এগোয়নি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
দোয়ারাবাজারে উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

দোয়ারাবাজারে উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক