ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেশ পুনর্গঠনে মার্কিন সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা নবাগত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নতুন বাংলাদেশে দলবাজি-দখলবাজির লক্ষণ উদ্বেগের কারণ আন্দোলনে নিহত গার্মেন্টস শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দাবি সীমান্তের ওপারে কয়লা আনতে গিয়ে মাটিচাপায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু শহরে একযোগে ফলের দোকান বন্ধ পুনর্বাসন চান ব্যবসায়ীরা সিগারেট না দেয়ায় যুবক খুন চোরাকারবারি চক্র সীমান্তে সক্রিয় সুবিধাভোগী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : উপদেষ্টা অভ্যুত্থানে শহীদ ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জন বিএনপি’র : মির্জা ফখরুল মাজারের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ ধোপাজান-চলতি নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন:ভাঙনের মুখে বিস্তীর্ণ জনপদ সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের আড্ডা অনুষ্ঠিত হিন্দু-মুসলমান নয়, বড় বিষয় হলো আমরা মানুষ ফিজিতে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া প্রবাসীদের শীর্ষে বাংলাদেশিরা আ.লীগ ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে : বদিউল আলম রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন : তারেক রহমান আর্থনীতিক অবস্থার পরিবর্তন চাই স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটি থেকে সভাপতির পদত্যাগ

‘গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন’ প্রসঙ্গে

  • আপলোড সময় : ১৫-০৮-২০২৪ ০২:০২:৫৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৮-২০২৪ ০২:০২:৫৬ অপরাহ্ন
‘গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন’ প্রসঙ্গে
কারা, কেন এবং কীভাবে করেছেন তার উত্তর পাওয়া অবশ্যই জরুরি এবং তা না পেলে বাংলাদেশে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের চরিত্র কী বোঝা যাবে না। বোঝা যাবে না গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মানুষকে কী উপহার দিতে চলেছেন এবং সেটা বাংলাদেশের মানুষের ভালো করতে পারবে কি না।

ইতোমধ্যেই ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ নামের একটি সংস্থার পক্ষ থেকে ‘রাষ্ট্র সংস্কার’-এর দাবি উঠেছে। এই দাবি ‘রাষ্ট্র-সংস্কারের প্রস্তাবক’দের পক্ষ থেকে দেশেকে জানিয়ে দিচ্ছে যে, দেশের যাবতীয় সমস্যার সমাধানের জন্য সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার একান্ত প্রয়োজন। রাষ্ট্র সংস্কারের এই দাবির একটি নিহিতার্থ আছে এবং এই নিহিতার্থটি হলো : রাষ্ট্র সংস্কার না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য ব্যর্থতা একবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের পরে প্রকৃতপ্রস্তাবে বিগত সরকারগুলোর স্বৈরাচারী শাসনের পরিসরে সাধারণ মানুষকে শোষণের আর্থসামাজিক ব্যবস্থাকাঠামোই বহাল থেকে যাবে, গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব শোষণ-নির্যাতনমূলক ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার কোনও পরিবর্তন হবে না এবং প্রকারান্তরে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

এমন বিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ নামের একটি সংস্থার নেতারা বলেছেন, “গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন ও রক্ষায় ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে। সব পক্ষের উচিত হবে এই বিজয় ও ঐক্যকে সত্যিকারের জাতীয় ঐক্যে রূপান্তর করে প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া।”

খুব ভালো কথা। এমন একটি উদ্যোগকে স্বাগত না জানানোর কোনও কারণ থাকতে পারে বলে আপাতত মনে হচ্ছে না। কিন্তু ‘আপতত’ কথাটির মধ্যে ‘কীছুটা হলেও ‘কিন্তু’র অশুভ আভাস প্রচ্ছন্ন থেকে যাচ্ছে, সে-সত্যিটাকেও অস্বীকার করার কোনও কারণ নেই। বলা হচ্ছে  গণ-অভ্যুত্থানের ‘এই বিজয় ও ঐক্যকে সত্যিকারের জাতীয় ঐক্যে রূপান্তর করে প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া’র কথা। এই ‘প্রতিবিপ্লব’ ঠেকানোর কোনও রাজনীতিবিজ্ঞানসম্মত কর্মসূচি কি ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলক’দের আছে, অর্র্থাৎ তারা কেমন সংস্কার চান? এই সংস্কারের জন্য তাঁদের রাজনীতিক ও আর্থনীতিক প্রস্তাবগুলো কী?

ভুলে গেলে চলবে না, বর্তমান পৃথিবীতে বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তিগুলো ক্ষুদ্র  ও দুর্বল রাষ্ট্রশক্তিগুলোর উপর প্রভুত্ব বজায় রেখেছে এবং শোষণ অব্যাহত রেখেছে এবং গণ-অভ্যুত্থান ও যুদ্ধ (প্রকৃতপ্রস্তাবে লুটের বণ্টন ও পুনর্বণ্টনের যুদ্ধ), এমনকি উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তির স্বার্থে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিটা ক্ষেত্রেই বিপুল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করছে আধিপত্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তিগুলো। আধিপত্য বিস্তারপ্রচেষ্টার নীলনকশায় বাংলাদেশ সবচেয়ে গুরুত্ববহ ভৌগোলক অবস্থানে অবস্থিত। বিশ্বব্যবস্থার এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে অবশ্যই ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’-এর নেতাদেরকে তাঁদের কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে এবং জনগণকে নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। এর বাইরে তাঁদের ‘গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন’-এর কোনও বিকল্প নেই, যদি না এই ‘আকাক্সক্ষা’ জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কর্মসূচি হয়ে উঠে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য