সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালগঞ্জে দুস্থ-অসহায় পরিবারের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ ৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক

দেখার হাওরের প্রয়োজনীয় স্থানে নেয়া হয়নি বাঁধের প্রকল্প : উদ্বিগ্ন কৃষক

  • আপলোড সময় : ৩১-১২-২০২৪ ০৯:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩১-১২-২০২৪ ০৯:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
দেখার হাওরের প্রয়োজনীয় স্থানে নেয়া হয়নি বাঁধের প্রকল্প : উদ্বিগ্ন কৃষক
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের অন্তর্গত দেখার হাওরের ছলিমপুর গ্রাম সন্নিকটে বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। গত বছরও ওই এলাকায় ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ফসল রক্ষার প্রয়োজনীয় স্থানে বাঁধের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। তাই আগাম বন্যার হাত থেকে বোরো ফসলরক্ষায় ছলিমপুর এলাকায় বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। জানাযায়, এবার দেখার হাওরের একাংশ টলামারা স্লুইস গেইটের দুই পাশে মাটি ভরাটের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। হাওরপাড়ের ছলিমপুরের পাশে খৈয়াকাইমা, ভৈষা বিলের খাড়া, গছিলারা কালাডোয়ার নামক স্থানে ক্লোজার বন্ধকরণে এবার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই শত শত একর বোরো ফসল আগাম বন্যার ঝুঁকিতে থাকবে। এই কারণে কৃষকরা এখনই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানান, এবার আগাম বন্যা না হলেও সুরমা নদী থেকে উজানের ঢলের পানি এসে ভেসে যাবে দেখার হাওর। এই হাওরে মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের পানি খাল দিয়ে প্রবেশ এবং সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে দেখার হাওরের এসব ফসল তলিয়ে যায়। তাই এবার আগাম বন্যায় বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা। দেখার হাওরের কৃষক আব্দুল আলী বলেন, এবার ফসল রক্ষা বাঁধ না হওয়ায় আমাদের বোরো জমি আগাম বন্যার ঝুঁকির মুখে থাকবে। বাঁধ নির্মাণের এখনো সময় আছে। দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি আমাদের। কৃষক সুজাত মিয়া বলেন, হাওরের এই স্থানে প্রতি বছর বাঁধ নির্মাণ হয়। এবার হলো না কেন। ভাবতেও অবাক লাগে। উজানের সামান্য পানিতে এখানকার ফসল তলিয়ে যায়। এসব ক্লোজার বন্ধ করা জরুরি প্রয়োজন। কৃষক সাহেব আলী বলেন, কম বেশি যেমন বরাদ্দ হোক। ফসলরক্ষা বাঁধ তো নির্মাণ প্রয়োজন ছিলো। এই বাঁধ জরুরিভিত্তিতে নির্মাণ প্রয়োজন। লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, হাওরের এসব ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ প্রতিবছর সুরমা নদীর পানি শহরের বিভিন্ন দিকে প্রবেশ করে এবং মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের পুরো পানি এই হাওরে প্রবেশ করে। এতে হাওরের ফসল ঝুঁকির মুখে পড়ে। তাই এখানকার বাঁধ বা ক্লোজারগুলো বন্ধকরণ অতিজরুরি। পানি উন্নয়ন বোর্ড সদর উপজেলার এসও আতিকুর রহমান বলেন, এবার ছলিমপুরের পাশের একাধিক ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য কেউ উদ্যোগ নেননি। তাই এবার এসব বাঁধ নির্মাণে পিআইসি গঠন হয়নি। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, গত বছর সদর উপজেলায় দেখার হাওরের ছলিমপুর এলাকায় বেড়িবাঁধ ও ক্লোজার বন্ধকরণে কাজ হয়েছিল। এবার হাওর নিরাপদ রাখতে অন্যদিকে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স