সুনামগঞ্জ , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের মানববন্ধন সব হাওরে দ্রুত বাঁধের কাজ শুরুর দাবি নিয়ম মেনে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে হবে টাংগুয়ার হাওরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা কমিটি গঠিত তিন বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কেউ পুলিশে যেন আর রাজনৈতিক কুপ্রভাবে না পড়ে : সিলেটে আইজিপি সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা পোস্টমাস্টার মো. শাহজান স্মরণে আলোচনা সভা সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে কাজ করবো আমার দেশ ২২ ডিসেম্বর থেকে নবযাত্রা শুরু করবে : মাহমুদুর রহমান পুলিশ সুপারের সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন গবেষক মাহবুবুর রউফ নয়ন ইংলিশ টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ইউকে’র আহ্বায়ক মনোনীত জগন্নাথপুরে গৃহবধূ নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের বিএনপি’র ৭০ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি জামালগঞ্জের শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদকে শোকজ কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দিরে আবারও চুরি খলিল রহমান আবারও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত সীমান্তে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য জব্দ দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা থেকে বাবরসহ ৭ আসামি খালাস
বৈদ্যুতিক খুঁটিতে প্রাইভেট কারের ধাক্কা

তিন বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কেউ

  • আপলোড সময় : ২২-১২-২০২৪ ১২:২১:২৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-১২-২০২৪ ১২:২১:২৫ পূর্বাহ্ন
তিন বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কেউ
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। কয়েকজন তরুণের জটলার মধ্যে কথা হচ্ছিল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আবদুল আজিজ সায়েমকে (২১) নিয়ে। স্মৃতিচারণায় মুমরাজ আলম নামের তাঁর এক বন্ধু বলছিলেন, গত বৃহ¯পতিবার দিবাগত রাত একটা পর্যন্ত আবদুল আজিজের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলেছেন তিনি। ঠিক পরদিন সকালেই এমন একটি দুর্ঘটনার খবর পাবেন, কল্পনাও করতে পারেননি। একপর্যায়ে হতবিহ্বল এসব তরুণের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন আবদুল আজিজের বাবা আবদুর রহমান। জানতে চাইলেন, তাঁরা চলে যাবেন কি না? জবাবে তরুণেরা একযোগে বলে উঠলেন, বন্ধুকে শেষবার দেখে এরপরই ফিরবেন, সম্ভব হলে একসঙ্গে ফিরবেন। আর কোনো কথা বলতে পারলেন না আবদুর রহমান। ছলছল চোখে তাঁদের দিকে একবার তাকালেন। এরপর কিছুটা দূরে গিয়ে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকলেন। গত শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালটিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুরে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে আবদুল আজিজসহ সৈয়দ মোখলেছ ওরফে মহান (২০) ও হাফিজুর রহমান (১৯) নামের তিন শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও দুজন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আবদুল আজিজ ও সৈয়দ মোখলেছ ছাতক উপজেলার পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দা ও পরস্পর বাল্যবন্ধু। ওই তরুণদের সবাই আবদুল আজিজের বন্ধু। আবদুল আজিজের বন্ধু মুমরাজ আলম বলেন, গত বৃহ¯পতিবার দিবাগত রাত একটা পর্যন্ত তারা ছাতকের কোর্ট এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলেছিলেন। এরপর যে যাঁর মতো বাড়ি ফেরার জন্য রওনা হন। পথে আবদুল আজিজ তাঁদের জানিয়েছিলেন, পরদিন শুক্রবার ভোরে সিলেট থেকে আরও দুজন আসবেন। তাঁদের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে সিলেটের লামাকাজিতে খেজুরের রস খেতে যাবেন। কিন্তু পরে আবদুল আজিজের বাবা আবদুর রহমান জানিয়েছেন, ‘আজিজ আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু বিষয়টি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না।’ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এক কোণে তখনো নির্বাক দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদুল আজিজের বাবা আবদুর রহমান। নীরবতা ভেঙে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবদুল আজিজ সায়েম ও সায়মা বেগম নামে তাঁদের যমজ সন্তান হয়েছিল। তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে আবদুল আজিজ ছিলেন তৃতীয়। গত বৃহঃপতিবার রাতে আবদুল আজিজ ঘরে ফিরেছিলেন কি না, তিনি বলতে পারেন না। খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। শুক্রবার সকালে ছাতকে দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন এমন খবর শুনে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নিহত ব্যক্তিদের একজন তাঁর ছেলে। এদিকে আবদুল আজিজের আরেক বন্ধু ইউসুফ আহমদ দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন, শুনেছি শুক্রবার ভোরে সিলেট থেকে দুজন প্রাইভেট কার নিয়ে এসেছিল। পরে ছাতক থেকে পাঁচজন মিলে খেজুরের রস খেতে বের হয়েছিল। শুক্রবার সকালে খেজুরের রস খেয়ে তাঁরা জৈন্তাপুরের হরিপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখান থেকে আবার জৈন্তাপুরের লাল শাপলা বিল দেখতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স