হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ
প্রকল্প কাজের সাইনবোর্ডে মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর কর্তনের বিষয় উল্লেখ রাখার দাবি
- আপলোড সময় : ১৫-১২-২০২৪ ০৮:১০:৩০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৫-১২-২০২৪ ০৮:১০:৩০ পূর্বাহ্ন
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প কাজের সাইনবোর্ডে ফসলরক্ষা বাঁধের দৈর্ঘ্য, হাওরের নাম, কাজের বিপরীতে বরাদ্দকৃত টাকার পরিমাণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি ও সচিবের নাম এবং মোবাইল নম্বর, সংশ্লিষ্ট চারজন সরকারি কর্মকর্তার নাম, পদবী ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকল্প কাজের বিপরীতে কাজ অনুযায়ী প্রতিটি প্রকল্পের সাইনবোর্ডে মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর কর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয় না। এতে করে বাঁধের কাজে জড়িত সংশ্লিষ্ট পিআইসিরা চরম বিপাকে পড়েন। কাজ শেষে বরাদ্দের পুরো টাকা না পেয়ে অনেককেই নিরুপায় হয়ে এলাকাছাড়া হতে বাধ্য হন। এ অবস্থায় ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় প্রকল্প কাজের পিআইসির সাইনবোর্ডে মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর কর্তনের বিষয়টি উল্লেখ রাখার দাবি জানিয়েছেন হাওর এলাকার কৃষকেরা।
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় চন্দ্র সোনার থাল, গুরমা, গুরমার বর্ধিতাংশ, ঘোড়াডোবা, রুই বিল, সোনামড়ল, কাইলানী, জয়ধনা ও ধানকুনিয়া এই নয়টি হাওর রয়েছে। গত অর্থ বছরে ধর্মপাশা উপজেলায় ৯৬টি ও মধ্যনগর উপজেলায় ৩২টি ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে প্রায় ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঁধের কাজের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন কৃষক বলেন, বাঁধের কাজের সাইনবোর্ডে প্রকল্পের বরাদ্দসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো উল্লেখ করার পাশাপাশি মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর বাবদ শতকরা ১২ভাগ টাকা কেটে রাখার বিষয়টি উল্লেখ থাকলে পিআইসিতে যারা অন্তর্ভুক্ত থাকেন তাদেরকে শুভঙ্করের ফাঁকিতে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে না।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বলেন, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প কাজের বিপরীতে কাজ অনুযায়ী পিআইসিকে চারটি কিস্তিতে যে পরিমাণ টাকা দেওয়া হয় তা থেকে মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর বাবদ শতকরা ১২টাকা কর্তন করে রাখা হয়। এবার বিষয়টি সাইনবোর্ডে উল্লেখ রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ