লুটেরাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে দেবেন না
- আপলোড সময় : ০৭-১২-২০২৪ ১২:২৫:৪১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৭-১২-২০২৪ ১২:২৫:৪১ পূর্বাহ্ন
গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, একজন রাজনীতিবিদ বলেছেন, ‘দেশের মানুষ লুটপাটকারীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না’। তিনি আরও বলেছেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেখ হাসিনা তার দোসররা মানুষের অধিকার হরণ করে ক্ষমতায় থেকে দেশের সম্পদ লুটেপুটে খেয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের পর এমন কথা এখন প্রায়ই রাজনীতিক সমাজের যারতার ভাষণ-বিবৃতিতে উচ্চারিত হচ্ছে হরহামেশা। দেশের জনসমাজ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে প্রত্যাশিত শান্তি, স্বস্তি কোনওটারই মুখ দেখতে পান নি, বরং মূল্যস্ফীতি আগের তুলনায় বেড়ে গিয়ে জনসমাজের জীবনকে কষ্টকর করে তোলেছে। দেশের জনসমাজ স্বস্তিতে নেই এটাই আসল কথা। তাছাড়া কোনও কোনও মহল আন্তর্জাতিক ও জাতীয় রাজনীতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেশের বর্তমান অবস্থাকে তপ্ত তাওয়া থেকে জ্বলন্ত উনুনে পতনের সঙ্গে সমার্থক বলে অভিহিত করছেন। এর কারণ অনুসন্ধানে নেমে কেউ কেউ বর্তমান আর্থসামজিক ব্যবস্থার দিকেআঙ্গুল তুলছেন। অর্থাৎ বর্তমান আর্থসামাজিক ব্যবস্থাকে জনসমাজের স্বার্থের অনুকূলে বদলে দিতে না পারলে যতো তার স্বরেই আওয়াজ তোলা হোক না যে, ‘দেশের মানুষ লুটপাটকারীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না’, আসলে সে-আওয়াজ শেষ পর্যন্ত ফাঁকা গলাবাজিতে পর্যবসিত হবে এবং ‘যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ’ প্রবাদটি পুরোমাত্রায় কার্যকর হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বাংলাদেশে অতীতে এমনটাই হয়েছে। রাজনীতিক, আর্থনীতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকারসহ স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার নাম করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসন দেশের মানুষ দেখেছে। দেশের মানুষ এইসব রাজনীতিক অঙ্গিকার-প্রতিশ্রুতি কোনওটারই বাস্তবায়ন হতে দেখেন নি, প্রকারান্তরে সম্পদ লুটপাটের শিকার হয়েছেন।
তারপরেও দেশের মানুষ বর্তমানে দেশের রাজনীতির লাগাম যাঁদের হাতে ন্যস্ত রয়েছে তাঁদের কাছে প্রত্যাশা করেন যে, আগামীতে সম্পদ লুটপাটকারী ফ্যাসিবাদী শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হবে না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ