সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রতিবন্ধী দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দলকে শক্তিশালী করতে ত্যাগীদের মূল্যায়নের বিকল্প নেই ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে আসছে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে মতবিনিময় সভা ২৮ উপায়ে দুর্নীতি হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে : শ্বেতপত্র কমিটি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটি ঘোষণার রায় স্থগিত সীমান্তে ভুয়া পুলিশ আটক সুন্দর আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা হাওর জলাভূমির জীবন্ত সত্তা, একে বাঁচিয়ে রাখতে হাওরবাসীর সংশ্লিষ্টতা প্রয়োজন : পানিসম্পদ সচিব বিশ্বম্ভরপুরে ৫ লাখ টাকার মাছ লুট নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন দেশের মানুষ লুটপাটকারীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেবেনা : কলিম উদ্দিন মিলন ডলুরায় ‘অবৈধ পাথর রাজ্য’ : পাথর লুট ঠেকাবে কে? শ্রমিকনেতা বাদল সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত তবু দেশের এক ইঞ্চি জমি কাউকে দেবো না : জামায়াত আমির লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে ৩ হাজার মে.টন বেশি ধান উৎপাদন ২১ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ক্যাবের স্মারকলিপি জামালগঞ্জে পাউবো’র মনিটরিং কমিটির সভা ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে এখনো গঠন হয়নি পিআইসি গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে জামালগঞ্জে সভা
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির রিপোর্ট

আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে দুই লাখ কোটি টাকা পাচার

  • আপলোড সময় : ০২-১২-২০২৪ ০২:০৮:২৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-১২-২০২৪ ০২:০৮:২৪ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে দুই লাখ কোটি টাকা পাচার
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যার পরিমাণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে এ প্রাক্কলন করা হয়েছে। রোববার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কমিটির প্রধান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটা ঐতিহাসিক দলিল। আর্থিকখাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল একটা আতঙ্কিত বিষয়। আমাদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কেউ এটা নিয়ে কথা বলেননি বলে তিনি উল্লেখ করেন। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কমিটির প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিষয়ে তারা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন। প্রতিবেদন জমার সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তিনি অর্থনীতি সংস্কারে সব পদক্ষেপ সমন্বিতভাবে পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনের সুপারিশ করেছেন। জানা গেছে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, সরকারি নথি ও বৈশ্বিক প্রতিবেদন ব্যবহার করে অর্থ পাচারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। এর আগে গত ২ নভেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানায়, গত ১৫ বছর ধরে প্রতি বছর দেশ থেকে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির তথ্য অনুযায়ী, আমদানি-রপ্তানির আড়ালে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ গড়ে প্রায় ৮ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা জানাতে প্রতিবেদন তৈরিতে গত ২৮ আগস্ট গঠিত হয় ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে তিন মাস সময় দেওয়া হয়। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির বাকি ১১ সদস্য হলেন- বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক লিড ইকোনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের র্ব্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো কাজী ইকবাল, বুয়েটের অধ্যাপক ম. তামিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি ও বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী। ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র’ শিরোনামের প্রতিবেদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক ভারসাম্য, ব্যাংকিং খাতের পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি, সরকারের ঋণ, পরিসংখ্যানের মান, বাণিজ্য, রাজস্ব, ব্যয়, মেগা প্রকল্প, ব্যবসার পরিবেশ, দারিদ্র্য ও সমতা, পুঁজিবাজার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও জলবায়ু ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ রয়েছে। কমিটি পদ্মা সেতু, রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রকল্পগুলোর ওপর তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স