মোল্লাপাড়ায় অসহায় পরিবার সমাজচ্যুত সদর থানায় অভিযোগ দায়ের
- আপলোড সময় : ২৬-১১-২০২৪ ০৯:৪৭:৩১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৬-১১-২০২৪ ০৯:৪৭:৩১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নেওয়ায় অসহায় পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর ভিকটিম (১৫) বাদী হয়ে গ্রামের ১৮জন মাতব্বরকে বিবাদী করে সদর মডেল থানায় অভিযোগটি দাখিল করেন।
অভিযোগে বিবাদী করা হয়েছে সুনীল দাশ (সভাপতি), পিতা মৃত সনাতন দাশ, সুভাষ দাশ, বিধান দাশ, লক্ষণ দাশ, অখিল দাশ, দিনেশ ঘোষ, শুভ ঘোষ, বেণু ঘোষ, সুবোধ দাশ, কিরঙ্গা দাস, কৃষ্ণ দাশ, বলাই দাশ, রাসিন্দ্র দাস, টিপু মজুমদার, মলিন্দ্র দাস, অজিত দাস, অদ্রই দাশ, বিনয় ভূষণ দাশ, পিতা ব্রজেন্দ্র দাশকে।
অভিযোগে ভিকটিম মেয়ে উল্লেখ করেন, আব্দুল্লাহপুর গ্রামস্থ মহাপ্রভুর আখড়ায় ১৩ নভেম্বর রাত অনুমান সাড়ে ১০টায় আমাদের পরিবারকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা সিদ্ধান্ত নেন, যাতে কেউ আমাদের সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক না রাখেন। কিন্তু ৩০/০৮/২০২২ ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা আছে। যার নং ৪২৬/২০২২ইং। মামলাটি এখনও বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বর্ণিত ১নং থেকে ১৮নং পর্যন্ত বিবাদীগণ একে অপরের যোগসাজশে ঘটনাস্থলে সালিশ সভার আয়োজন করে তাকে ও তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, দায়েরকৃত ৪২৬/২০২২ ইং মামলা আদালত হতে তুলে না নেয়ায় বিবাদীগণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেন- তাকে ও তার পরিবারের লোকজনদেরকে আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ধর্মীয় কোনো আচার-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ দেয়া যাবে না। ভাল-মন্দে তাদের পরিবারের লোকজনকে দেখাশুনা করা যাবে না। এমনকি সমাজের মানুষ তাদের সাথে উঠবস করাও যাবে না। রাস্তাঘাটে তাদের চলাফেরায় প্রকাশ্যে বাধা না দিয়ে এড়িয়ে চলবে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৮/১০/২০২৪ তারিখের বিরাশি গাঁইয়া সালিশে ইউনিয়নের বিশিষ্টজনের মতামতের ভিত্তিতে সমাজে মিলেমিশে চলার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু ১৮/১০/২০২৪ইং তারিখের বিরাশি গাঁইয়া সালিশের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে বিবাদীগণেরা তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে বেআইনীভাবে এক ঘরে করে রাখে।
এই প্রতিবেদককে ভিকটিম বলেন, যারা আমাদেরকে সমাজচ্যুত করে রেখেছেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি পুলিশের সহযোগিতা কামনা করছি।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, একজন লোক তার নিজস্ব স্বার্থের কারণে সমাজচ্যুত পরিবারের সাথে ঝামেলা করছে, এমন খবর পেয়েছি। মামলা তদন্তকারী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে মামলার অগ্রগতি বিষয়ে জানতে পারবেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ