বন্যা মোকাবিলায় ভাঙা হবে ইটনা-মিঠামইন সড়ক : ফরিদা আখতার
- আপলোড সময় : ২৪-১১-২০২৪ ০৯:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৪-১১-২০২৪ ০৯:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিলেটের বন্যা থেকে রক্ষায় প্রয়োজনে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিস¤পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। শনিবার সকালে সিলেটে আয়োজিত এক কর্মশালায় একথা বলেন তিনি।
সিলেট মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে নগরীর খ্যান প্যালেস কনভেনশন হলে ‘হাওরে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় স্টেকহোল্ডার্স কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপ’’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিস¤পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল।
মৎস্য ও প্রাণিস¤পদ উপদেষ্টা বলেন, সিলেটের নদ-নদীর অবাধ পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে ও সিলেটকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হতে পারে। এজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আধুনিকতার নামে অপরিকল্পিতভাবে হাওরে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধের কারণে হাওর ও মৎস্যস¤পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিলেটকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে হলেও হাওরের সড়ক ও বাঁধের বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে বলে মন্তব্য করে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, হাওরের মাছ প্রকৃতির দান। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ করে মাছের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে মানুষ ভোক্তা ও আহরণকারী হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।
তিনি বলেন, হাওরে মাছের গতিপথে অপরিকল্পিত বাঁধ দিয়ে ও রাস্তা নির্মাণ করে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরে দেশীয় প্রজাতিগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।
মৎস্যস¤পদ রক্ষায় মৎস্যজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এখন মৎস্যজীবীর আগে প্রকৃত মৎস্যজীবী, অরিজিনাল মৎস্যজীবী - এ রকম যে ভাষা চলে আসছে। এটার মানে হচ্ছে এ পেশায় যারা নিয়োজিত তাদের প্রতি অনেক অন্যায় করা হয়েছে। যারা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তাঁদের মূল্যায়ন করা হয়নি। অতি মুনাফালোভীরা ব্যবসার নামে মাছের ক্ষতি করেছে। এ জন্য প্রকৃত মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষণে দেশীয় প্রজাতির মাছ করা অত্যন্ত দরকার। মাছ ধরা পেশাকে আধুনিকায়ন করতে হবে, যাতে তারা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন।
মাছের প্রজননকালীন মাছ ধরতে নিষিদ্ধের বিষয়ে হাওর অঞ্চলে বিলবোর্ড ও রেডিও-টেলিভিশনে এ সংক্রান্ত প্রচারণা করা যেতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাওর অঞ্চলে মাছ ধরার নিষিদ্ধের পাশাপাশি পর্যটনও এ সময়ে নিষিদ্ধ করতে হবে।
মৎস্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগ আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিস¤পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল। কর্মশালায় হাওর অধ্যুষিত সাত জেলা থেকে সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন। আয়োজনের বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি। এছাড়া সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ, বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কর্মশালায় দেশের হাওর অধ্যুষিত সাতটি জেলা থেকে আগত মৎস্য স¤পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি হাওর ও মৎস্য স¤পদ রক্ষায় বিভিন্ন দাবির কথাও উল্লেখ করেন তারা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ