অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আস্থা স্থাপন বর্তমান রাজনীতিক পরিসরে জাতির পক্ষে একান্ত অবশ্যক। তাতে কারও দ্বিমত থাকতেই পারে বটে, কিন্তু তার বিপরীতে কোনও রাজনীতিক বিকল্প আপাতত আছে বলে মনে হয় না।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরবর্তী সংকটজনক অবস্থায় অবশ্যই ভেবে-চিন্তে সমাধানের পথ বের করতে হবে এবং যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে হবে। আমাদের আগেকার সরকারগুলোকে রাষ্ট্রনীতির বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা স্বৈরতান্ত্রিক বলে অভিহিত করছেন বা করে আসছেন। সে-রকম স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভেতরে দেশের সাধারণ মানুষ আবার গিয়ে পড়তে রাজি নন। অন্তর্বর্তী সরকারের মনে রাখতে হবে, দেশ ও দেশের মানুষের কথা। দেশ মানে বিদেশ নয়, দেশ মানে দেশের মানুষ। দেশের স্বার্থ মানে বিদেশের স্বার্থ নয়, দেশের মানুষের স্বার্থ। মানুষের স্বার্থে কাজ করলে দেশের স্বার্থে কাজ করা হয়। মানুষকে বাদ দিয়ে দেশ নয়। এই কথা সামগ্রিকভাবে অনুধাবন করতে না পারলে দেশ পিছিয়ে থাকেবে ও পিছিয়ে পড়ার ফাঁদে আটকে যাবে।
পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থায় উন্নয়নশীল দেশের জন্য মধ্যআয়ের পিছিয়ে থাকার একটা ফাঁদ আছে। এই ফাঁদ এড়িয়ে যেতে হবে। সে-জন্য বুঝতে হবে, গণতান্ত্রিকতার খোলসে স্বৈরতান্ত্রিকতাকে ধারণ করে গণতন্ত্র হয় না। গণতন্ত্রকে হতে হয় কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের রাজনীতিক ক্ষমতায়নে সহায়ক ও সকল মানুষের জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার নীতি - সম্পদে বৈষম্যহীনতার নীতি। যে-নীতি রাষ্ট্রনীতি রূপে স্বীকৃত হবে এবং সম্পদলুটের রাজত্ব ও জনগণের উপর প্রভুত্ব করার আমলাতান্ত্রিকতা তৈরি করে না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha