স্টাফ রিপোর্টার ::
এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে সুনামগঞ্জে র্যালি, আলোচনা সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে শহরের আলফাত স্কয়ারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষক কর্মচারী ও কেন্দ্রীয় মহাজোট কমিটির অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইনছান মিঞার সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ স¤পাদক ও সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে.এম শামসুল আলম রাসেলের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও আলহাজ্ব জমিরুননুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফররুখ আহমদ তালুকদার, কৃষ্ণনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, লবজান চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুছ ছাত্তার, টেংরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন, গণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন, পালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাবুর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রেমানন্দ দাস, সহকারী প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, সহকারী শিক্ষক নাসরিন আক্তার, সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ স¤পাদক মো. উস্তার আলী, শিক্ষক জিয়াউর রহমান, সোহেল আহমদ, হাসান, মোতালিব হোসেন, হুমায়ূন কবির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। পাঠ্যক্রম, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য রয়েছে। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ হারে কেটে রাখলেও বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই।
বক্তারা আরও বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয় তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই ভর্তুকি ছাড়াই এটি জাতীয়করণ সম্ভব। অনতিবিলম্বে এই দাবি আদায় না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ।