1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

‘মুজিব ১০০ পার্ক’ : অদেখা প্রকৃতির বিমূর্ত প্রকাশ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি ::
পশ্চিমে বহতা সুরমা নদী। দক্ষিণে পূর্ব-পশ্চিমমুখি আব্দুজ জহুর সেতু। পূর্বে উপজেলা পরিষদের আবাসিক কয়েকটি বাসা, দু’চারটি বৃক্ষ রাজি। সুরমা নদীর পশ্চিম তীরে উপজেলা পরিষদের পশ্চিমের সীমানা দেয়াল। এই দেয়াল লাগোয়া একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা করা হয়েছে সম্প্রতি। যেখানে বসে সপরিবারে আনন্দে মাতা যাবে। দেখা যাবে নদী আর চারপাশের প্রকৃতি। চারপাশের বিমূর্ত প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায় দেয়ালজুড়ে আকা এবস্ট্রাক্ট ছবিতে। সেই বিমূর্ত ছবি এঁকে দিয়েছেন তরুণ শিল্পী সত্যজিৎ চক্রবর্তী রাজন। এখানে বসলে নিজের চোখ চারপাশের যে অংশ দেখতে পাওয়া যায়না সেই অংশ দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিমূর্ত ফর্মে। ঘুরতে আসা ভাবাতুর মন নিজের মতো করে দেয়ালে মিলিয়ে নিতে পারবে অদেখা অংশকে। করতে পারবে নিজের সঙ্গে কথোপকথন।


সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপলের পরিকল্পনায় সদর উপজেলা পরিষদ ‘মুজিব ১০০ পার্ক’ নামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশর্ত বর্ষে এই আকর্ষণীয় পার্ক তৈরি করেছে। আজ ২ ডিসেম্বর পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কটি উদ্বোধন করবেন। এর আগে পার্কে বসার বেঞ্চ, রঙচঙ, টাইলস, দেয়ালে ছবি আঁকাসহ সব কাজ শেষ করা হয়েছে। মুজিববর্ষের এই অনন্য স্মারকটি দৃষ্টি কেড়েছে সুধীজনের।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহান মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল বিশেষ পরিকল্পনা নেন। তিনি পরিষদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জাতির জনকের নামে একটি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেন। পার্কটি আকর্ষণীয় ও সাধারণ মানুষকে টানতে বেছে নেন সুরমা নদীর তীরকে। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৩৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থের পাকা স্থাপনার কাজ শেষ হয়েছে। বসানো হয়েছে স্টিলের বেঞ্চ। পুরো মেঝেতে টাইলস বসানো হয়েছে। রাতে জ্বালানোর জন্য বিশেষ আলোকবাতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কের কাজ শেষ হয়েছে। পশ্চিম উত্তরের খেয়াঘাটের প্রবেশপথে টাঙানো হয়েছে সাইন বোর্ড। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের ভিতরের দেয়ালসহ পার্কের ভিতরের দুটি দেয়ালে বিমূর্ত ছবি আঁকার কাজ শেষ করেছেন শিল্পী সত্যজিৎ চক্রবর্তী রাজন। প্রথার বাইরের এই পেইন্টিং বোদ্ধাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।


প্রকৃতির অদেখা অংশকে বিমূর্ত ফর্মে তুলে ধরে দেখতে আসা ভ্রমণার্থীদের ভাবনায় ফেলে দিয়েছেন শিল্পী সত্যজিত চক্রবর্তী রাজন। এখানে নির্ভার চিত্তে বসে অদেখা প্রকৃতির মাঝে নিজের অপ্রকাশিত অংশের সঙ্গেই যেন কথোপকথন করছেন ভ্রমণার্থীরা-ঘুরতে এসে জানালেন কবি জাহেদ আহমদ।
শিল্পী সত্যজিত চক্রবর্তী রাজন বলেন, তিনটি দেয়ালে প্রায় ৩০০ ফুট দীর্ঘ এবস্ট্রাক্ট ছবি আঁকার কাজ শেষ হয়েছে। এখানে যারা ঘুরতে আসবেন, বসে বসে তারা চারপাশের লুকানো অংশকে খুঁজে পাবেন ছবিতে। তারা নিজেদের মতো মিলিয়ে নিবেন অদেখা প্রকৃতিকে। এই ভাবনা নিয়েই আমি দেয়ালের ছবিগুলো এঁকেছি।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল বলেন, মহান মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা ‘মুজিব ১০০ পার্ক’ নির্মাণ করেছি। শিল্পী চারপাশের অদেখা প্রকৃতির বিমূর্ত প্রকাশ করেছেন দেয়ালে। আমরা আগামীতে এই দৃষ্টিনন্দন পার্ক আরো বড়ো করার পরিকল্পনা রয়েছে। ছুটির দিনে ব্যস্ত শহরের নাগরিকরা বাড়ির পাশের এই পার্কে সপরিবারে আনন্দ চিত্তে সময় কাটাতে পারবেন। এই উপজেলা পরিষদ যাতে জেলার একটি পর্যটন ব্র্যান্ড হয় সেই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com