জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এ কারণে পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় একটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিদ্যালয়টিতে রয়েছে শিক্ষক সংকট। ৯ জন শিক্ষকের মধ্যে বর্তমানে পাঠদানে আছেন ৪ জন। কাগজপত্রে ৬ জন। দু’জন শিক্ষক ডেপুটেশনে রয়েছেন অন্যত্র। তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭১০জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
জানাগেছে, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক ১৫ এপ্রিল ২০১৫ সাল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন তা জানেন না বর্তমান প্রধান শিক্ষক। ইসলাম ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক নুরুল ইসলাম দু’বছর ধরে ডেপুটেশনে কর্মরত রয়েছেন সিলেট আলীয়া মাদ্রাসায়। বাংলা, গণিত, বিজ্ঞান ও ভূগোলের শিক্ষকের পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় পাঠগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে, অফিস সহকারীর ১টি পদের মধ্যে ১টি শূন্য। অফিস সহায়কের ২টি পদের মধ্যে ১টি আছে, অন্যটি শূন্য রয়েছে।
তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে মারাত্মকভাবে লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে বলে জানান অভিভাবকগণ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও বলেছেন শিক্ষক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষক সংকটের বিষয় স্বীকার করে বলেছেন শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার পর শিক্ষকরা ডেপুটেশনে অন্যত্র চলে যান। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দেখা দেয়।
দুর্গম এলাকায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়োগ পেয়ে পরে অন্যত্র চলে যান। এতে পাঠদান ব্যাহত হয়। আমরা চাই জেলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে যথাযথ পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি বৃদ্ধি করা এবং শিক্ষার্থীদের আসন বৃদ্ধি করা।