1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

গণতন্ত্র দেশ ও জাতিকে আলোকিত করে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০১৭

গণতন্ত্রকে কলুষিত না করে প্রকৃত অর্থেই প্রয়োগ করলে দেশ ও জাতি যেমন সমৃদ্ধ হয়, তেমনি সেখানে কোনো অভিযোগ থাকে না। গণতন্ত্র হচ্ছে স্বচ্ছ একটি নীতি বা আদর্শ।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর শাসকদল মুসলিম লীগ বিরোধী দলের অস্তিত্ব স্বীকার করতে চায়নি। ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ঘোষণা দেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মুসলিম লীগের অস্তিত্বের ওপরই পাকিস্তানের অস্তিত্ব নির্ভর করে।
এটি যে কী ভয়ংকর উক্তি ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ততদিনে পাকিস্তানের বিরাট এবং প্রথম বিরোধীদল মুসলিম লীগ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে। লিয়াকত আলী খানের গণতন্ত্রবিরোধী বক্তব্যে প্রতিবাদ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে যা লিখেছিলেন তা আজকের বাংলাদেশের জন্যও কমবেশি সত্য।
বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, লিয়াকত আলী খান জনগণের প্রধানমন্ত্রী হতে চান নাই, একটি দলের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন। রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দল যে এক হতে পারে না সে কথাই স্পষ্ট করে বলেছেন তিনি।
তবে গণতন্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য হলো, বিরোধী দল না থাকলে গণতন্ত্র চলতে পারে না। কিন্তু ১৯৭২ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে যখন জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি জরুরি ছিল, তখনই রাজনৈতিক বিভেদেও চোরাগলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। গণতন্ত্রের শর্ত তখন টিকে থাকলো না। এক শ্রেণির বিপ্লববিলাসী হঠাৎ করেই বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ ঘোষণা করে বসে। এমন কি বিভিন্ন স্থান মুক্ত এলাকা ঘোষণা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এই সুযোগে স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। এ নিয়ে আগস্টের ট্র্যাজেডির আগে ও পরে কার কী ভূমিকা ছিল তার নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন করা আমাদের প্রয়োজন। আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৪৬ বছর। এই সময়ে কোনো সরকার কতটা গণতান্ত্রিক আর কতটা স্বৈরতান্ত্রিক ছিল তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় তুললেও আমরা ইতিহাস বদলাতে পারি না। যখন যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তারাই মনে করেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র তাঁরা জনগণকে উপহার দিয়েছেন। গণতন্ত্রের জন্য আমরা দশকের পর দশক আন্দোলন করেছি, অথচ একটি সর্বসম্মত নির্বাচন পদ্ধতি তৈরি করতে পারিনি। যে ব্যবস্থায় জনগণ পছন্দমতো প্রতিনিধি দেয়ার সুযোগ থাকবে। গণতন্ত্রের প্রধান পূর্বশর্ত এক সঙ্গে চলা, সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া, আলোচনা করা, বিতর্ক, মতবিনিময়ে যে গণতন্ত্রের অপরিহার্য দিক সেটি আমাদের অনেক রাজনীতিক চান না। অন্যের খারাপ উদাহরণ টেনে সেটি অনুসরণ না করে ভালো উদাহরণ সৃষ্টি করাই গণতন্ত্র।
শক্তিশালী বিরোধীদলই সরকারের বন্ধু হতে পারে। কিন্তু যখনই যে দল ক্ষমতায় যায়, তারা গণতন্ত্রের কথা বললেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় না। প্রকৃত গণতন্ত্র রাষ্ট্রের শান্তির চাবিকাঠি। রাষ্ট্রের মজবুত হাতিয়ার। আমরা সেই গণতন্ত্র চাই যে গণতন্ত্রে সাধারণ মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। এই বুকভরা প্রত্যাশা বাংলার জনগণের।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com