1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির উদ্যোগে স্মরণসভা : বাংলাদেশের ইতিহাসে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও সংসদীয় রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ সদ্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নাম তত দিন বেঁচে থাকবে, যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে। তিনি আমাদের আলোকিত করে গেছেন। সংসদীয় রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ আর কোনোদিন ফিরবেন না। কিন্তু তিনি তার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। তার অবদান আমাদের জাতীয় রাজনীতির পথ চলতে সাহায্য করবে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরিতে ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন মনজুর সভাপতিত্বে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্মরণসভার আলোচানায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
আলোচনায় অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, মুহিবুর রহমান মানিক, অ্যাডভোকেট শামসুন নাহার বেগম (শাহানা রাব্বানী), অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক স¤পাদক দেলোয়ার হোসেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বন্ধু সাবেক সচিব এম আই খান, প্রবীণ সাংবাদিক ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহমুক্তিযোদ্ধ বন্ধু সালেহ চৌধুরী, জালালাবাদ অ্যাসোশিয়েশনের নেতা সিএম তোফায়েল সামি, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত সহকারী এটিএম মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ছিলেন। শুধু সংসদ নয়, সংসদের বাইরেও আমাদের স¤পর্ক ছিল খুবই নিবিড়। বয়সে আমি বড় হলেও বৃহত্তর সিলেটের মানুষ হিসেবে আমরা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। রাজনীতিতে এত অভিজ্ঞ পার্লামেন্টিরিয়ান আমি আর দেখিনি। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। সুরঞ্জিত শুধু সিলেটের নেতা নন, তিনি অল্প বয়সেই জাতীয় নেতাতে পরিণত হন।
স্মৃতিচারণা করে আবুল মাল মুহিত বলেন, ৬৩ সালে আমি ঢাকা ছেড়ে যাই। প্রায় ১৪ বছর দেশে ছিলাম না। প্রথম ৫ বছর পাকিস্তান, ৫ বছর আমেরিকায় এবং আড়াই বছর ম্যানিলায়। ঢাকায় নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু করি ৬৯ সালে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ঠিক সরকারি চাকরি করতাম না। বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করেছি। বাংলাদেশে আমি ফিরে আসি ৭২ এর জানুয়ারিতে। সেই সময়ে ৪ মাস বাংলাদেশে ছিলাম। তখন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সঙ্গে একজন তরুণ এবং একমাত্র বিরোধী দলের সাংসদ হিসাবে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর প্রায়ই আসতাম এবং থাকতাম। সেই সময়ে তার একটি নতুন পরিচয় পেলাম সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসাবে। আমার মনে হয়, এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে সম্মান দেখিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সুরঞ্জিত সেই সুযোগটা গ্রহণ করেছিল। আমি সব সময়ই সুরঞ্জিতকে সুরঞ্জিত বলেই ডাকতাম। সংসদে সব সময় সুরঞ্জিতের বক্তব্য শোনার জন্য উদগ্রীব থাকতাম। সুরঞ্জিত ছিল ব্যাপক জনপ্রিয় নেতা। আমি ৩ বার তার এলাকায় গিয়েছিলাম। প্রথমবার ফোনে সে বললো, আপনি আমার এলকায় আমার হুকুম ছাড়া যেতে পারবেন না। পরবর্তীতে সুরঞ্জিত সব ব্যবস্থা করে বাউল স¤্রাট শাহ আব্দুল করিমের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। জনগণের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অসীম। জনগণও তাকে ভালোবাসতো। আমি মনে করি সুরঞ্জিত ছিল আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ ছিলেন। সংসদে তার উপস্থিতি ছিল নিরবচ্ছিন্ন। সংসদীয় পদ্ধতিকে এগিয়ে নিতে সে কাজ করে গেছে। তবে সংবিধানের প্রথম অনুমোদনে সুরঞ্জিত স্বাক্ষর করেনি। এটা ঠিক হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে সংবিধানের সংশোধনের সময় সবার স্বাক্ষর করেছিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমি সংসদে এসেছি প্রথমবার ১৯৯৬ সালে। আর উনি এসেছিলেন সেই ১৯৭০ সালে। দাদার কাছ থেকে আমরা সংসদীয় রাজনীতি ও নিয়ম নীতি শিখে বড় হয়েছি। আমাদের মাঝে একটা মিল রয়েছে যে, দুজনই ভাটি অঞ্চলের মানুষ। তিনি শুধু ভাটি অঞ্চলের মানুষই নন, তিনি সারাদেশের সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কাছ থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দশে আমরা সবকিছু শিখেছি। আজ তিনি পৃথিবীতে নেই। আমি তার শূন্যতা অনুভব করি। শুধু সংসদে নয়; রাজনীতির মাঠেও তাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তিনি যখন বক্তব্য দিতেন তখন মনে কতো সিনেমার নায়ক, যাত্রার নায়ক কথা বলছেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শুধু একজনই, এমন একজন আর কোনোদিন এই বাংলার বুকে আসবেন না।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শুধু একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন রাজনৈতিক কবি। সাহিত্যের রসবোধ দিয়ে তিনি যেভাবে বক্তব্য দিতেন তা সবাইকে মনোমুগ্ধ করে রাখতেন। আমি যখন রাজনীতিতে আসতে চেয়েছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে সামলাতে পারবে তো। এই পথটা এত মসৃণ নয়। তিনি আপাদমস্তক একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা (হেফাজত ইসলাম) আজ আমাদের সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক ভাস্কর্য, পহেলা বৈশাখ, মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এসময়ে একজন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে খুব প্রয়োজন ছিল। তিনি একাই একশো জনের কাজ করে দিতেন। এমন একজন কবিয়ালের মৃত্যুতে কখনো তার কৃতিত্ব মুছে যাবে না। বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম হয়ে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আচরণে কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন। আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে ক্ষমা যাচ্ছি। আপনারা তার মৃত্যুর পর যে সম্মান দেখিয়েছেন তার জন্য পরিবারে পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞ। ঈশ্বর আমাদের সবার সহায় হোন।
সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক বলেন, তিনি আমার অভিভাবক ছিলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে নিয়ে কয়েকটি তথ্যগত ভুল রয়েছে। তিনি ৮ বারের সংদস্য ছিলেন। অনেকেই ৭ বার বলেন। এটা ঠিক নয়। তিনি আদর্শিক রাজনীতির ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবস্থান ধরে রাজনীতি চিরদিন করে গেছেন। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে তিনি বারবারই জোটে ছিলেন এবং রূপকার হিসেবে কাজ করে গেছেন।
সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, আমি শুধু এতটুকু বলতে চাই, তিনি আমাদের আলোকিত করেছিলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমাদের সুনামগঞ্জের রাজনীতির বাতিঘর ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বলতাম আমরা প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এলাকার মানুষ। তিনি সংসদীয় রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি ছিলেন আমাদের শিক্ষক ছিলেন। সংসদের শিক্ষক হিসেবেই তিনি থাকবেন। হাওড়ের শহরে তিনি তখন আওয়ামী লীগ করতেন। সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট মোড়ে মাইকিং করে দেয়া হতো সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বক্তব্য দিতেন। হাজার হাজার মানুষ সমবেত হতেন। কখনো মানুষকে কাঁদাতেন, কখনো হাসাতেন, কখনো বা দ্রোহের আগুনে জ্বালাতেন। তিনি অনেক বেশি পড়াশুনা করতেন। তার বক্তব্যে সাহিত্যের রসবোধ ছিল।
তিনি আরো বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ৭০ এর প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ভারতে চলে যাননি। এই বাংলাদেশে থেকেই মুক্তযুদ্ধ করেছেন। তিনি সাহসী মানুষ ছিলেন। উজান ¯্রােতের বিপরীতে তিনি জাতীয় রাজনীতির মহীরুহে পরিণত হয়েছিলেন এবং সুনামগঞ্জের মানুষের সর্বশেষ ঠিকানা ছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। রাজনীতিতে চলতে গিয়ে প্রতিকূলতার মুখে কখনো ভেঙে পড়েননি। মানুষকে ভালোবেসেই তিনি রাজনীতি করে গেছেন। জন্মের আগেই তিনি বাবাকে হারিয়েছেন, শৈশবে মাকে হারিয়েও দেশপ্রেমকে আঁকড়ে ধরে তিনি বেড়ে উঠেছিলেন। সর্বশেষ মৃত্যুর আগে সংসদে নিজের অফিসে প্রায় আধঘণ্টা কথা বলেছিলাম। তখন আমার অগ্রজ সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দিয়েছিলাম। এটাই ছিল দাদার সঙ্গে আমার শেষ দেখা। আমি মনে করি, এমন প্রজ্ঞাবান, মেধাবি, সংসদীয় সংসদীয় রাজনীতিতে আর কোনো দিন একজন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আসবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বেঁচে থাকবেন।
সুরঞ্জিতের ব্যক্তিগত সহকারী এটিএম মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ বলেন, আন্তর্জাতিক মাপের পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আমি দীর্ঘদিন তাকে দেখেছি। আমি যাকে বলতাম বাংলাদেশের রাজনীতির একজন বিশুদ্ধ শিল্পী। তিনি যখন বক্তব্য দিতেন সবাইকে তিনি তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে এমন এক পর্যায়ে নিতে যেতেন সবাই মনোমুগ্ধ হয়ে শুনতেন। আমি এখানে স্মৃতিচারণা করতে চাই না। তার সঙ্গে যাপিত জীবনের কথাগুলোই বলছি। জীবনের শেষ দুই দিন কাজ করেছেন শুধু। আগে বিকালে বিশ্রাম নিতেন। কিন্তু জীবনের শেষ দুই দিন তিনি শুধু আমার সঙ্গে কথা বলে গেছেন। জীবনের শেষ ৪টি কাজ করার জন্য ¯্রষ্টার কাছে ৬ মাস আয়ু ভিক্ষা চেয়েছিলেন। শেষ চারটি ইচ্ছের মধ্যে রয়েছে: মদন শাল্লা সড়ককে মহাসড়কে পরিণত করা, দিরাই-শাল্লার প্রতি ঘরে বিদ্যুতায়ন, শাল্লা পলিটেনিকেল কলেজ ও নিজের নামে মেডিকেল কলেজ করার কাজ।
সাবেক সচিব এম আই খান বলেন, আমরা একই পরিবারের সন্তান। আমরা একসাথে বড় হয়েছি। একসাথে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই স্লোগান দিয়েছি। ৬২ সালে হামিদুর রহমান কমিশনের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের বুঝিয়েছি। কিন্তু নিজেই জানতাম না হামিদুর রহমান কমিশন কি? সেই দিরাইয়ের দুঃখু সেন হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির এক নক্ষত্র সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আমাদের প্রিয় বৌদি ড. জয়া সেনগুপ্তকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা। তাকে জয়ী করে আনা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রবীণ সাংবাদিক ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহমুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী বলেন, আমাকে স্মরণ করার কথা ছিল সুরঞ্জিতের। ওর সঙ্গে আমার স¤পর্ক বিবর্তিত হয়েছে। প্রথমে ছিলাম বড় ভাই, পরে বন্ধু এবং শেষ দিন পর্যন্ত নেতা ছিল আমার। একসঙ্গে কলেজ জীবনে নাটক করেছি। তারপর চলে এলো একাত্তর। এপ্রিলে শেরপুরে একটা যুদ্ধ হয়েছিলো। সেখানে লঞ্চ বোঝাই করে খাদ্য সরবরাহ করতো সুরঞ্জিত। যুদ্ধের ঐ সময় তিনি শিলং চলে যান। সেখানে যুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে ফিরে এসে সরাসরি সাব সেক্টর কমান্ডার হিসাবে মুক্তিযুদ্ধ করেন।
জালালাবাদ এসোশিয়েশনের নেতা সিএম তোফায়েল সামি বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমার বন্ধু ছিলেন। সুখে-দুখে আমরা পাশাপাশি থেকেছি।
ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন মনজুর বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন গরিব মানুষের নেতা। একদিন তার বাসায় যাওয়ার পর দেখি, তিনি বলছেন- আমার সাথে যারা দেখা করতে এসেছেন তাদের মধ্যে যারা লুঙ্গি পড়ে এসেছেন তাদেরকে সবার আগে নিয়ে আসো। তিনি বৃহত্তর সিলেটের উন্নয়নে আমাদের পরামর্শ দিয়ে গেছেন নিরন্তর।
শোকসভায় মাসকুর এ সাত্তার কল্লোল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তে জীবনী পাঠ করেন। এরপর সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
শোক প্রস্তাব পেশ করেন ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির সাধারণ স¤পাদক ডা. মো. আবুল কালাম চৌধুরী। এ সময় তিনি অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৮৬ সাল থেকে ব্যক্তি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সান্নিধ্যে আসার কথা বলেন তিনি। -পূর্বপশ্চিম.বিডি.নেট

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com