দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং চলছেই। জেলা সদরে বর্তমানে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কম হলেও ধর্মপাশায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নাজুক। এ নিয়ে বৃহ¯পতিবার দৈনিক সুনামকণ্ঠে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে ধর্মপাশা উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকরা প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টাই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই অবস্থা বিরাজ করছে গত দুই সপ্তাহ ধরে। বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে। পাশাপাশি এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে।
ধর্মপাশা উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের ১২ সহস্রোধিক গ্রাহকের মধ্যে গত দুই সপ্তাহ ধরে দিনে রাতে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও দিনে রাতে কমপক্ষে ১০/১৫ বার লোডশেডিং হয়ে থাকে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীর ওপর। ফলে পরীক্ষার্থীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারছেন না। নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় একদিকে কৃষকের বোরো মৌসুমে চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে, অন্যদিকে পরীক্ষার্থীদেরও চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে। সে লক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া বা মানুষকে বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনাই যথেষ্ট নয়। বরং নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পাশাপাশি সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থারও প্রসার ঘটাতে হবে। দায়িত্বে অবহেলা না করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহে তৎপর হওয়া উচিত।