দেশগড়ার লক্ষ্যে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস। একটি শক্তি, একটি সাধনা। গত ১০ জানুয়ারি এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, সুশীলসমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীরা কর্মশালায় যোগ দেন। শুদ্ধাচারের ধারণাটি এভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে, সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ বোঝায়। এর দ্বারা একটি সমাজের কালোত্তীর্ণ মানদ-, নীতি ও প্রথার প্রতি আনুগত্যও বোঝানো হয়। ব্যক্তি পর্যায়ে এর অর্থ হলো- কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা, তথা চরিত্র নিষ্ঠা।
শুদ্ধাচার কৌশল অবলম্বন আমাদের জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে এর চর্চা, গুরুত্ব এবং কৌশলে আরো পারদর্শী হতে হবে। যারা দিকপালের দায়িত্ব রয়েছেন।
‘রূপকল্প ২০২১’ এ উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী এক দশকে দেশটিতে ক্ষুধা, বেকারত্ব, অশিক্ষা, বঞ্চনা ও দারিদ্র্য থাকবে না, দেশে বিরাজ করবে শান্তি, সুখ, সৌন্দর্য্য ও সমৃদ্ধি।
সরকারের এসব পরিকল্পনা আমাদেরকে আশান্বিত করে। তবে বাস্তবায়নে সরকার মুখ্য ভূমিকা পালন করলেও দেশের সুশীল সমাজকে যেমন যুক্ত করতে হবে, তেমনি সুশীল সমাজও আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের কার্যক্রমকে নিয়ে আমাদের শুধু সমালোচনা করার নয়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মনে-কর্মে নিজেদেরকে দেশপ্রেমিক হতে হবে। বিশ্বে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর এই তো সময়। শুদ্ধাচার কৌশলকে এ প্রত্যাশা পূরণের একটি অবলম্বন হিসেবে যেমন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই জন্য আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এই কৌশলটির অনুসরণ ও বাস্তবায়নের চূড়ান্তরূপ আমাদের দিতেই হবে। তবে দেশ হয়ে ওঠবে প্রকৃত সোনার বাংলা।