দীর্ঘদিন পর নবীনগর, হালুয়ারঘাট, মঙ্গলকাটা এবং ডলুরা সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ৬ কিলোমিটার সড়কের বিটুমিনাস ও ঢালাইয়ের জন্য বরাদ্দ এসেছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই কাজ শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
গত ৮ বছর পূর্বে এই সড়কের সংস্কার কাজের নামে ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্ট অফিসের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে বড় ধরনের পুকুরচুরির মত ঘটনা ঘটেছিল। ফলে সংস্কারের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে মুছে যায় সড়কের সংস্কার কাজ। তারপর থেকেই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে পথচারীদের দুর্ভোগসহ যানবাহনের দুর্ঘটনা একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
এখন এ সড়কের প্রায় সকল অংশই ভাঙা, ছোট-বড় হাজারো গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বেহাল অবস্থার মধ্যেও প্রতিদিনের জরুরি প্রয়োজনে মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলা শহরে আসেন। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সদর উপজেলার সুরমা, জাহাঙ্গীরনগর, রাঙ্গারচর ইউনিয়ন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সলুকাবাদ ইউনিয়ন, দোয়ারাবাজার উপজেলার চকবাজার, বাংলাবাজার এলাকার হাজারো মানুষ শহরে যাতায়াত করেন প্রতিদিন। বিশেষ করে সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের মানুষের শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়কটি। এক সময় সড়ক সংস্কারের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে স্থানীয় জনগণ। তারা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে থাকেন। অবশেষে এই সড়ক সংস্কারের জন্য বরাদ্দ এসেছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এ সড়কের সংস্কার কাজের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে সড়কটির টেকসই সংস্কার হলে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে। কমে আসবে দুর্ঘটনা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে অতীতের সড়ক সংস্কারের নামে যেভাবে টাকা লুটপাট করা হয়েছে, যার ফলে সপ্তাহখানেক যেতে না যেতেই সড়কটি যানবাহনসহ পথযাত্রীদের চলার অযোগ্য হয়ে পড়ে। সে অবস্থার আবার পুনরাবৃত্তি ঘটলে সংস্কার করে লাভ কী? তাই এবার সড়ক সংস্কারের শুরু থেকেই স্থানীয় জনগণসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর রাখতে হবে, যাতে ঠিকাদার সংস্কার কাজে কোনো রকম কারচুপি করতে না পারে। তা হলেই সড়কটির কাজ হবে টেকসই। সড়ক সংস্কারের কাজ দুর্নীতিমুক্ত হোক, সংস্কার কাজ দীর্ঘস্থায়ী হোক এটাই প্রত্যাশা।