শুরু থেকেই শিশুদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে সঠিক শিক্ষার মানউন্নয়ন যেমন সম্ভব নয়, তেমনি শিশুদের বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়বে।
আমাদের দেশের চার কোটি শিশুর আশির ভাগই দরিদ্র এবং নিম্নবিত্ত ঘরের। তাই শিশু শিক্ষাপদ্ধতিকে আধুনিক, মনঃস্তাত্ত্বিক সম্পন্ন করতে না পারলে তা হবে আমাদের চরম ব্যর্থতা। শিশুদের কল্যাণে আমাদের বিনিয়োগ খুবই সীমিত। পাড়ায় পাড়ায় নেই খেলার মাঠ, লাইব্রেরি, এমন কী স্কুলে ভালো বসারও ব্যবস্থা নেই। এমনকি শিশু শিক্ষায় আমরা আজও আনতে পারিনি সমতাভিত্তিক পাঠ্যক্রম বা শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
দরিদ্র দিনমজুরের সন্তানেরা শিক্ষাগ্রহণ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কিংবা বেসরকারি সংস্থার কোনো স্কুলে। অপরদিকে আমরা দেখি সচ্ছল পরিবারের অভিভাবকেরা কিন্ডারগার্টেনে সন্তান ভর্তি করানোর জন্য প্রতিযোগিতায় নামেন।
শিক্ষা নিয়ে আমাদের ভাবনাকে আরো গভীরে নিয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ দেশের সকল শিশুর মধ্যে মানবিক সমতাভিত্তিক নৈতিক শিক্ষাসহ আধুনিক ভাবধারার শিক্ষার প্রচলন চালু করতে হবে।
শিক্ষায় সকল শিশুদের জন্য এক কাতারে বিবেচনা করে নৈতিক, শারীরিক, মানসিক উন্নতি বিকাশে আমাদের নিরন্তর, চিন্তা ভাবনা করে শিশুশিক্ষায় পরিবর্তন আনতে হবে। তারাই তো জাতির আগামী ধারক ও বাহক। এই শ্রেণির মন-মানসিকতায় শিশুদের প্রতি আমরা দৃষ্টি দিতে হবে। শিক্ষার ভাবধারায় পরিবর্তন আনা তা এখন সময়ের দাবি। শিক্ষায় সকল শিশু একটি সহজ-সরল সমতাভিত্তিক পাঠ্যসূচির মাধ্যমে পড়াশোনার সুযোগ পাকÑ এটাই আমাদের প্রত্যাশা।