সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সম্প্রতি ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে, বাসের ভিতরে হিজড়াদের চাঁদাবাজি দমনে সরকারের দৃষ্টি রয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার গুরুমাতাদের সমন্বয়ে এসব সমস্যা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া এসব সামাজিক অনাচার বা গণউপদ্রব দমনে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
বৃহ¯পতিবার জাতীয় সংসদে জাসদের সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অসহায় শিশু-কিশোরদের হয়রানি, নির্যাতন এবং দুর্নীতির বিষয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী সমাজের কল্যাণের কাজ করে। এক্ষেত্রে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না, দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কিংবা নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। খুব অল্প দিনের মধ্যে এসব বন্ধ হবে, যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মো. ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বেদে, হিজড়া ও হরিজন সম্প্রদায়ের পরিসংখ্যানগত কোনো জরিপ হয়নি। তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী ৭৫ হাজার ৭০২ জন বেদে, ১০ হাজার ১৩৯ জন হিজড়া এবং ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জন হরিজন রয়েছে। প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ অনুযায়ী প্রতিবন্ধি ব্যক্তির সংখ্যা ১৫ লাখ ৯ হাজার ৭১৬ জন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্কুলগামী বেদে, হিজড়া ও হরিজন শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৪ স্তরে প্রাথমিক স্তর-৩০০, মাধ্যমিক স্তর ৪৫০ ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর ৬০০ এবং উচ্চতর স্তরে ১০০০ টাকা উপবৃত্তি দেয়া হয়। ৫০ বছর বা এর বেশি বয়সের অক্ষম ও অসচ্ছল হিজড়াদের বয়স্কভাতা বা বিশেষ ভাতা মাসিক ৬০০ টাকা করে দেয়া এবং বেদে ও হরিজন বয়স্কভাতা বা বিশেষ ভাতা মাসিক ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতি জেলায় ৫০ জনকে ৫০ দিনের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষম হিজড়া জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে তাদের সমাজের মূলস্রোতধারায় আনা হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে ১০ হাজার টাকা করে প্রত্যেককে প্রশিক্ষণের পর সহায়তা দেয়া হয়।