সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মূল পর্যায়ের কাজ চলতি বছরের মাঝামাঝিতে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। ইয়াফেস ওসমান বৃহ¯পতিবার বিকেলে সংসদের চলতি অধিবেশনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বেগম লুৎফা তাহেরের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রস্তুতিমূলক নির্মাণ কাজ সফলতার সাথে সমাপ্তির পর্যায়ে রয়েছে। মূল পর্যায়ের নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালের মাঝামাঝি শুরু হবে। ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট জনবলের কাজের প্রকৃতিও ভিন্ন এবং তাদের পৃথক আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার জন্য পৃথক পৃথক জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
চুক্তি অনুয়ায়ী রাশিয়ান ফেডারেশনের জেএসসি এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জনবলের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
আইএইএ-এর গাইডলাইন এবং আন্তর্জাতিক রেওয়াজ অনুযায়ী পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ফাস্ট কনট্রাক্ট ডেট (এফসিডি) ইভেন্ট থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় জনবলের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এফসিডি ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রী আরো জানান, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন এবং কেন্দ্রটি সুষ্ঠু ও নিরাপদে পরিচালনার জন্য আনুমানিক ২৫৩৫ জন জনবল প্রয়োজন হবে। এ জনবলের ১৪২৪ জনকে জেনারেল কনট্রাক্ট-এর অধীনে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জব পজিশন এবং জব ফাংশন এর ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মানদ-ের নিরিখে বিভিন্ন মেয়াদে ঠিকাদারের সহায়তায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।