স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরে ইউপি সদস্যের উপর হামলার ঘটনায় ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত ইউপি সদস্য মতিউর রহমান মতি’র ছোট ভাই আবুল হোসেন বৃহস্পতিবার তাহিরপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হল- সুনামগঞ্জ শহরের আরপিন নগর এলাকার আব্দুল আলীর পুত্র হাসানুজ্জামান ইস্পাহানি, তেঘরিয়া এলাকার আব্দুছ ছালামের পুত্র এহসানুল হক উজ্জ্বল, বাঁধনপাড়া এলাকার মৃত ফরহাদ মিয়ার পুত্র সাজিদুর রহমান, উত্তর আরপিননগর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র আজিজুর আলম অপু, তেঘরিয়া এলাকার শাহীন মিয়ার পুত্র শিমন ইবনে জামিল, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র গুলশান মিয়া, মৃত বাগড়া মিয়ার পুত্র শাহজাহান মিয়া, মৃত জহুর উদ্দিনের পুত্র বাদল মিয়া, আসকর আলীর পুত্র বাশার মিয়া, মধ্য তাহিরপুর গ্রামের মৃত আম্বর আলীর পুত্র খেলু মিয়া ও মালু মিয়া, মধ্য তাহিরপুর গ্রামের মালু মিয়ার পুত্র অপু মিয়া, শাহজাহান মিয়ার পুত্র স¤্রাট মিয়া ও রাহুল মিয়া, ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার পুত্র খসরু মিয়া। এছাড়া আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে মামলাটি রজু করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ‘উন্নয়নের আট বছর ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ বিষয়ে উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান – মেম্বারদের নিয়ে স্থানীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের নির্ধারিত সভা ছিল। দুপুরে সাংসদ যখন উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ছিলেন তখন উপজেলা আ.লীগ কার্যালয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুটের পক্ষে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আয়ূব বখ্ত জগলুল ভোট প্রার্থনা করেন এবং বলেন, এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। আপনারা কেউই তার কথায় সাড়া দেবেন না। এ বক্তব্যে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান উপজেলা বাস্তুহারা লীগের সভাপতি ও তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মতিউর রহমান মতি। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আওয়ামী লীগের কার্যালয়েই ইউপি সদস্য মতিউর রহমান মতিকে মারধর করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় আবার হামলার ঘটনা ঘটে ইউপি সদস্য মতিউর রহমান মতি’র উপর।
আহত ইউপি সদস্য’র আত্মীয় সাইদুল মিয়া জানিয়েছেন, এক চেয়ারম্যানপ্রার্থী সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই দফা হামলা চালিয়ে মতিউর রহমান মতিকে গুরুতর আহত করে।
হামলায় ইউপি সদস্য মতিউর রহমান মতিকে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আহত ইউপি সদস্য মতিউর রহমান মতিকে দেখতে যান আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনসহ আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।